ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যাণার্জীর কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের উলুবেরিয়া আসনের বিজেপি প্রার্থী অরুণউদয় পাল চৌধুরীর পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে মুসলিম তোষণের অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ।

অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর পরও তৃণমূল নেত্রী মমতা কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন যাননি সেই প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন, বাংলায় ইমামদের ভাতা দেয়া হলেও মন্দিরের পুরোহিতদের ভাতা দেয় না মমতা দিদির সরকার।

এ সময় তিনি আরও বলেন, দুর্গা পূজায় মমতা দিদি ছুটি দেন না, রমজানে ছুটি দেন!

ওই নির্বাচনী সমাবেশে মঙ্গলবারের অমিত শাহ এরপরই বলেন, কী ভাই-বোনেরা, আমি ঠিক বলছি তো? শাহের এমন কথা শুনে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি প্রার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অন্য নেতারা যখন একে অপরের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলেন, ততক্ষণে উপস্থিত জনতা শাহের কথাকে সমর্থন করে বলে ফেলেছে—‘হ্যাঁ’।

শাহ বলতে শুরু করেন, এটাই তৃণমূলের সরকার। এরা রোহিঙ্গা আর বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে চায়। কারণ ওরাই তৃণমূলের ভোট ব্যাংক। তাই মমতা দিদি সিএএ-এর বিরোধিতা করছেন।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ২০১১ সালে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠনের পর থেকে সরকারি ছুটির সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, দুর্গা পূজায়। গত বছরই দুর্গা পূজা উপলক্ষে রাজ্যে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছিল তৃণমূল সরকার। এর আগের বছর একই উৎসবে ১১ দিন ছুটি পেয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।

শুধু তাই নয়, ২০১১ সাল থেকেই রাজ্যের ক্লাবগুলোকে দুর্গা পূজার জন্য সরকারিভাবে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়া শুরু হয়। গত বছর এই অনুদানের পরিমাণ ছিল ৭০ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আদালতে মামলাও করেছিলেন।

এ অবস্থায় অমিত শাহের মুখে ভুল তথ্য পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতারাও। শাহকে আক্রমণ করে তাচ্ছিল্যের সুরে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘উনি যদি পড়াশোনা না করে এসে হাস্যকর কথা বলে যান, তাতে তো বিজেপির বিড়ম্বনা আরও বাড়বেই!’

উল্লেখ্য, ভারতের নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা অভিযোগ করে আসছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের স্বার্থ বেশি দেখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১১

আপডেট সময় : ০৩:০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যাণার্জীর কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের উলুবেরিয়া আসনের বিজেপি প্রার্থী অরুণউদয় পাল চৌধুরীর পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে মুসলিম তোষণের অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ।

অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর পরও তৃণমূল নেত্রী মমতা কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন যাননি সেই প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন, বাংলায় ইমামদের ভাতা দেয়া হলেও মন্দিরের পুরোহিতদের ভাতা দেয় না মমতা দিদির সরকার।

এ সময় তিনি আরও বলেন, দুর্গা পূজায় মমতা দিদি ছুটি দেন না, রমজানে ছুটি দেন!

ওই নির্বাচনী সমাবেশে মঙ্গলবারের অমিত শাহ এরপরই বলেন, কী ভাই-বোনেরা, আমি ঠিক বলছি তো? শাহের এমন কথা শুনে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি প্রার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অন্য নেতারা যখন একে অপরের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলেন, ততক্ষণে উপস্থিত জনতা শাহের কথাকে সমর্থন করে বলে ফেলেছে—‘হ্যাঁ’।

শাহ বলতে শুরু করেন, এটাই তৃণমূলের সরকার। এরা রোহিঙ্গা আর বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে চায়। কারণ ওরাই তৃণমূলের ভোট ব্যাংক। তাই মমতা দিদি সিএএ-এর বিরোধিতা করছেন।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ২০১১ সালে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠনের পর থেকে সরকারি ছুটির সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, দুর্গা পূজায়। গত বছরই দুর্গা পূজা উপলক্ষে রাজ্যে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছিল তৃণমূল সরকার। এর আগের বছর একই উৎসবে ১১ দিন ছুটি পেয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।

শুধু তাই নয়, ২০১১ সাল থেকেই রাজ্যের ক্লাবগুলোকে দুর্গা পূজার জন্য সরকারিভাবে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়া শুরু হয়। গত বছর এই অনুদানের পরিমাণ ছিল ৭০ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আদালতে মামলাও করেছিলেন।

এ অবস্থায় অমিত শাহের মুখে ভুল তথ্য পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতারাও। শাহকে আক্রমণ করে তাচ্ছিল্যের সুরে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘উনি যদি পড়াশোনা না করে এসে হাস্যকর কথা বলে যান, তাতে তো বিজেপির বিড়ম্বনা আরও বাড়বেই!’

উল্লেখ্য, ভারতের নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা অভিযোগ করে আসছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের স্বার্থ বেশি দেখে।