ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যিশুর সাক্ষাৎ পেতে অনাহারে কেনিয়ায় মৃত্যু বেড়ে ২০০, নিখোঁজ ৬০০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ ৭১ বার পড়া হয়েছে

যিশুর সাক্ষাত পেতে অনাহারে থেকে কেনিয়ায় একটি ধর্মগোষ্ঠীর মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০১ জনে পৌঁছেছে। এছাড়াও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। কেনিয়ার পুলিশ বলছে, ওই গোষ্ঠীর গুরু নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন যে যদি তারা না খেয়ে মারা যান তাহলে যিশুর সাক্ষাৎ পাবেন।

অনুসন্ধান দলগুলো সম্প্রতি উপকূলীয় শহর মালিন্দিতে ধর্মগুরুর বাড়িতে অগভীর কবরে বহু মৃতদেহ খুঁজে পায়। গত সপ্তাহে এই মরদেহগুলো খুঁজে পওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। খবর আনাদুলু এজেন্সির

গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল গির্জার প্রধান পল ম্যাকেঞ্জি এনথেঞ্জ তার শিষ্যদের বলেন, তারা যদি অনাহারে মারা যায় তবে তারা যিশুর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে। শিষ্যদের অনেকেই তার এই কথা বিশ্বাস করেন।

পুলিশ সূত্র পেয়েছিলো যে, ধর্মগুরুর বাড়িতে আরও ভুক্তভোগী আছেন। পুলিশ যখন সেই স্থানে অভিযান চালায়, তখন তারা বেশ কয়েকজনকে দুর্বল হয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দেখতে পায়।

কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, গির্জার অন্য সদস্যরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লুকিয়ে রয়েছেন। গির্জা প্রধানকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে কেনিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি কেবিসি এনথেঙ্গেকে একজন ধর্মগুরু বলে বর্ণনা করে। খবরে বলা হয় অনশনে মৃত্যুবরণের সাথে সম্পর্কিত ৫৮টি কবর শনাক্ত করা হয়েছে।

ম্যাকেঞ্জি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু আদালত তাকে জামিন দেয়নি। ওই ব্যক্তি দাবি করেন ২০১৯ সালে তিনি তার গির্জা বন্ধ করে দেন। এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ– তিনি তার অনুসারীদের ‘খ্রিস্টের সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত’ অভুক্ত থাকতে বলতেন।

কেনিয়ার দৈনিক দি স্ট্যান্ডার্ড লিখেছে উদ্ধার করা মরদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা দেখা হবে যে সত্যিই না খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছিল কিনা।

দি স্টান্ডার্ডের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, ওই ধর্মগুরু তিনটি গ্রামের নাম দিয়েছিলেন – নাজারেথ, বেথলেহেম এবং জুদেয়া। তিনি তার অনুসারীদের স্থানীয় একটি পুকুরের পানিতে ‘পূত-পবিত্র’ হয়ে তাদেরকে অনশন শুরুর নির্দেশ দেন।

কেনিয়ায় ধর্মবিশ্বাস খুবই গভীর। এর আগেও বিভিন্ন সময় অনিয়ন্ত্রিত গির্জা এবং ধর্মগুরুদের ফাঁদে পড়ে বিপদগ্রস্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যিশুর সাক্ষাৎ পেতে অনাহারে কেনিয়ায় মৃত্যু বেড়ে ২০০, নিখোঁজ ৬০০

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

যিশুর সাক্ষাত পেতে অনাহারে থেকে কেনিয়ায় একটি ধর্মগোষ্ঠীর মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০১ জনে পৌঁছেছে। এছাড়াও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। কেনিয়ার পুলিশ বলছে, ওই গোষ্ঠীর গুরু নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন যে যদি তারা না খেয়ে মারা যান তাহলে যিশুর সাক্ষাৎ পাবেন।

অনুসন্ধান দলগুলো সম্প্রতি উপকূলীয় শহর মালিন্দিতে ধর্মগুরুর বাড়িতে অগভীর কবরে বহু মৃতদেহ খুঁজে পায়। গত সপ্তাহে এই মরদেহগুলো খুঁজে পওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। খবর আনাদুলু এজেন্সির

গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল গির্জার প্রধান পল ম্যাকেঞ্জি এনথেঞ্জ তার শিষ্যদের বলেন, তারা যদি অনাহারে মারা যায় তবে তারা যিশুর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে। শিষ্যদের অনেকেই তার এই কথা বিশ্বাস করেন।

পুলিশ সূত্র পেয়েছিলো যে, ধর্মগুরুর বাড়িতে আরও ভুক্তভোগী আছেন। পুলিশ যখন সেই স্থানে অভিযান চালায়, তখন তারা বেশ কয়েকজনকে দুর্বল হয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দেখতে পায়।

কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, গির্জার অন্য সদস্যরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লুকিয়ে রয়েছেন। গির্জা প্রধানকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে কেনিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি কেবিসি এনথেঙ্গেকে একজন ধর্মগুরু বলে বর্ণনা করে। খবরে বলা হয় অনশনে মৃত্যুবরণের সাথে সম্পর্কিত ৫৮টি কবর শনাক্ত করা হয়েছে।

ম্যাকেঞ্জি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু আদালত তাকে জামিন দেয়নি। ওই ব্যক্তি দাবি করেন ২০১৯ সালে তিনি তার গির্জা বন্ধ করে দেন। এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ– তিনি তার অনুসারীদের ‘খ্রিস্টের সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত’ অভুক্ত থাকতে বলতেন।

কেনিয়ার দৈনিক দি স্ট্যান্ডার্ড লিখেছে উদ্ধার করা মরদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা দেখা হবে যে সত্যিই না খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছিল কিনা।

দি স্টান্ডার্ডের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, ওই ধর্মগুরু তিনটি গ্রামের নাম দিয়েছিলেন – নাজারেথ, বেথলেহেম এবং জুদেয়া। তিনি তার অনুসারীদের স্থানীয় একটি পুকুরের পানিতে ‘পূত-পবিত্র’ হয়ে তাদেরকে অনশন শুরুর নির্দেশ দেন।

কেনিয়ায় ধর্মবিশ্বাস খুবই গভীর। এর আগেও বিভিন্ন সময় অনিয়ন্ত্রিত গির্জা এবং ধর্মগুরুদের ফাঁদে পড়ে বিপদগ্রস্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।