ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে ‘ঋণের চাপে’ ২ শিশুসহ মায়ের আত্মহত্যা

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের উওর ইসলামপুর গ্রামে যে কোন সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বসতঘর থেকে মা ও দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন—মা সায়মা বেগম (৩৩) ও তার কন্যাসন্তান ছাইমুনা (১১) এবং পুত্র সন্তান তাওহীদ (৭)। নিহত সায়মা বেগমের স্বামী আলী মিয়া সৌদিআরব প্রবাসী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আট বছর আগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিও থেকে মোটা অংকের টাকা ধার করে সৌদি আরবে জান ওলি মিয়া। সে সময় তাওহীদ তার মায়ের পেটে ছিল। এ ৮ বছরের মধ্যে ঋণের চাপে ওলি মিয়া দেশে আসতে পারেনি। সায়মা এক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আরেক এনজিওর ঋণ পরিশোধ করছিল। প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিওর মানুষ তাদের পাওনা জন্য আসত। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী ওলি মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া হতো সায়মা বেগমের। গতকালকেও স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয় তার।

শনিবার রাতে যে যার মতো ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সকালে কেরানীগঞ্জের একটি এনজিওর লোক বাড়িতে ঋণের টাকা নিতে আসে। তারা ঘরের দরজা ধাক্কা ধাক্কি করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে ওই এনজিওর লোকজন জানালার একটি অংশ খুলে দেখতে পান সায়মা বেগম ঘরে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।

ঢাকা মেইল-কে ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রোববার বেলা ১২ টার দিকে পুলিশ দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের লাশ উদ্ধার করে। লাশের সুরত হাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত সায়মা বেগমের প্রতিবেশি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে টাকা ধার চেয়ে ছিলেন সায়মা বেগম। আজ রোববার ৫ থেকে ৬ টি এনজিওর কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল। এজন্য সে গতকালকেও অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছিল। সবার হাত খালি কে কাকে তাদের সহযোগিতা করবে। মূলত ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুন্সীগঞ্জে ‘ঋণের চাপে’ ২ শিশুসহ মায়ের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের উওর ইসলামপুর গ্রামে যে কোন সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বসতঘর থেকে মা ও দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন—মা সায়মা বেগম (৩৩) ও তার কন্যাসন্তান ছাইমুনা (১১) এবং পুত্র সন্তান তাওহীদ (৭)। নিহত সায়মা বেগমের স্বামী আলী মিয়া সৌদিআরব প্রবাসী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আট বছর আগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিও থেকে মোটা অংকের টাকা ধার করে সৌদি আরবে জান ওলি মিয়া। সে সময় তাওহীদ তার মায়ের পেটে ছিল। এ ৮ বছরের মধ্যে ঋণের চাপে ওলি মিয়া দেশে আসতে পারেনি। সায়মা এক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আরেক এনজিওর ঋণ পরিশোধ করছিল। প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিওর মানুষ তাদের পাওনা জন্য আসত। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী ওলি মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া হতো সায়মা বেগমের। গতকালকেও স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয় তার।

শনিবার রাতে যে যার মতো ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সকালে কেরানীগঞ্জের একটি এনজিওর লোক বাড়িতে ঋণের টাকা নিতে আসে। তারা ঘরের দরজা ধাক্কা ধাক্কি করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে ওই এনজিওর লোকজন জানালার একটি অংশ খুলে দেখতে পান সায়মা বেগম ঘরে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।

ঢাকা মেইল-কে ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রোববার বেলা ১২ টার দিকে পুলিশ দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের লাশ উদ্ধার করে। লাশের সুরত হাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত সায়মা বেগমের প্রতিবেশি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে টাকা ধার চেয়ে ছিলেন সায়মা বেগম। আজ রোববার ৫ থেকে ৬ টি এনজিওর কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল। এজন্য সে গতকালকেও অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছিল। সবার হাত খালি কে কাকে তাদের সহযোগিতা করবে। মূলত ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে ।