ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুখে বললেও প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না আ.লীগ: ফখরুল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩ ৮১ বার পড়া হয়েছে

মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এই অভিযোগ করেন তিনি।

‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক ওই সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আওয়ামী লীগ এ জন্যই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিল তারা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে যখন কোনোদিকে সামাল দিতে পারছে না, এই সংবিধানকে তারাই কাটাছেঁড়া করেছে। তখন তাদের কর্মকাণ্ডে মানুষ শুধু খেপেই যাচ্ছে, খেপেই যাচ্ছে। এমনকি প্রকাশ্যে ঈদের ময়দানে গুলি করে আওয়ামী লীগের এমপিদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এটাই ইতিহাস। এই জিনিসগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা কলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন তারা ক্ষমতায় থাকবে, এটা কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক সংবিধান হতে পারে না। সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণ যদি মনে করে আমি এটাকে পরিবর্তন করব, তাহলে তারা পরিবর্তন করতে পারবে।ফখরুল বলেন, ভয়কে কাটিয়ে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম। আবার ভয়কে কাটিয়ে ১৯৯০ সালে আমান উল্লাহ আমানরা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল। ভয়কে কাটিয়ে উঠে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে নেমেছি। এ আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এভাবে চলতে থাকলে তা হবে জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এমন অসভ্য বর্বর শাসক আমরা কখনো দেখিনি। এরা প্রতারক ও ভণ্ড।

ফখরুল বলেন, আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষ এখন সত্য কথা লেখেও না, বলেও না। যারা প্রতিবাদী তারাও আর সত্য কথা বলে না। তারা আওয়ামী লীগের অন্যায়ের প্রতিবাদও করেন না।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই, তাহলে বাংলাদেশে কেন- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সে সময় বলেছিল যে, বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় যায় পরবর্তীতে তারা ফের ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। এমনকি আওয়ামী লীগ ওই দাবিতে দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল। বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল। একপর্যায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সে সময় দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। দল, মত নির্বিশেষে সকলের একটা মত ছিল যে, বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হওয়ার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেরাই ১৯৭৫ সালে সেই পদ্ধতি নষ্ট করে ফেলেছে।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় সামন্ততন্ত্রে থাকতে চায়। তাদের মধ্যে জমিদারি ভাব সবসময় থাকে। তারা ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। সে জন্যই সে সময় ৩০ হাজার তরুণ যুবককে হত্যা করেছে। কারণ, তারা সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছিল। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে এমন খেপে গিয়েছিল যে, তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ভয় পেলে চলবে না। আবারও আমাদের জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব। তা না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারও পুরনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি। তারা দেশের মানুষকে বোকা ভাবছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই প্রথমে নিজেরা আদালতকে ব্যবহার করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে- একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। এ জন্য যিনি রায় দিয়েছেন, সেই বিচারক খায়রুল হককে একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছেন সে জন্য। তবে এবার দেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির মানুষ জেগে উঠেছে। আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই। তবেই আমাদের দাবি আদায় করা সম্ভব হবে।

জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মুখে বললেও প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না আ.লীগ: ফখরুল

আপডেট সময় : ১১:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এই অভিযোগ করেন তিনি।

‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক ওই সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আওয়ামী লীগ এ জন্যই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিল তারা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে যখন কোনোদিকে সামাল দিতে পারছে না, এই সংবিধানকে তারাই কাটাছেঁড়া করেছে। তখন তাদের কর্মকাণ্ডে মানুষ শুধু খেপেই যাচ্ছে, খেপেই যাচ্ছে। এমনকি প্রকাশ্যে ঈদের ময়দানে গুলি করে আওয়ামী লীগের এমপিদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এটাই ইতিহাস। এই জিনিসগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা কলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন তারা ক্ষমতায় থাকবে, এটা কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক সংবিধান হতে পারে না। সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণ যদি মনে করে আমি এটাকে পরিবর্তন করব, তাহলে তারা পরিবর্তন করতে পারবে।ফখরুল বলেন, ভয়কে কাটিয়ে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম। আবার ভয়কে কাটিয়ে ১৯৯০ সালে আমান উল্লাহ আমানরা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল। ভয়কে কাটিয়ে উঠে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে নেমেছি। এ আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এভাবে চলতে থাকলে তা হবে জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এমন অসভ্য বর্বর শাসক আমরা কখনো দেখিনি। এরা প্রতারক ও ভণ্ড।

ফখরুল বলেন, আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষ এখন সত্য কথা লেখেও না, বলেও না। যারা প্রতিবাদী তারাও আর সত্য কথা বলে না। তারা আওয়ামী লীগের অন্যায়ের প্রতিবাদও করেন না।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই, তাহলে বাংলাদেশে কেন- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সে সময় বলেছিল যে, বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় যায় পরবর্তীতে তারা ফের ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। এমনকি আওয়ামী লীগ ওই দাবিতে দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল। বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল। একপর্যায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সে সময় দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। দল, মত নির্বিশেষে সকলের একটা মত ছিল যে, বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হওয়ার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেরাই ১৯৭৫ সালে সেই পদ্ধতি নষ্ট করে ফেলেছে।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় সামন্ততন্ত্রে থাকতে চায়। তাদের মধ্যে জমিদারি ভাব সবসময় থাকে। তারা ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। সে জন্যই সে সময় ৩০ হাজার তরুণ যুবককে হত্যা করেছে। কারণ, তারা সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছিল। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে এমন খেপে গিয়েছিল যে, তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ভয় পেলে চলবে না। আবারও আমাদের জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব। তা না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারও পুরনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি। তারা দেশের মানুষকে বোকা ভাবছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই প্রথমে নিজেরা আদালতকে ব্যবহার করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে- একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। এ জন্য যিনি রায় দিয়েছেন, সেই বিচারক খায়রুল হককে একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছেন সে জন্য। তবে এবার দেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির মানুষ জেগে উঠেছে। আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই। তবেই আমাদের দাবি আদায় করা সম্ভব হবে।

জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।