ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্চে ৫৪৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৯২, আহত ১১৬৭

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

গেল মার্চ মাসে সড়ক, রেল ও নৌ পথে মার্চে ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫৯২, আহত হয়েছেন ১১৬৭ জন।এর মধ্যে কেবল সড়ক পথে ৪৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন নিহত, ১১৩৮ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৫ এপ্রিল) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, একই সময় রেলপথে ৫৩টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত, ১৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ৯টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ হয়েছে। এ মাসে ১৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ৯৭ জন আহত হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭৯ জন চালক, ১০১ পথচারী, ৬০ পরিবহন শ্রমিক, ১২২ শিক্ষার্থী, ১৩ শিক্ষক, ১২ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯০ নারী, ৫০ শিশু, ২ সাংবাদিক, ৭ মুক্তিযোদ্ধা, ২ আইনজীবী ও একজন প্রকৌশলী এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

যার মধ্যে নিহত হয়েছে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ২ আনসার সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১৪০ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৩ পথচারী, ৬৭ নারী, ৩৭ শিশু, ৪২ শিক্ষার্থী, ২৫ পরিবহন শ্রমিক, ৯ শিক্ষক, ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩ চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ২ আইনজীবী ও ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এ সময়ে সংঘঠিত দুর্ঘটনায় ৬৬৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ১৬.৮১ শতাংশ বাস, ২৮.২৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৪.৬৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৩.৭৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৩.১২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪.১১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৯.৩০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংঘঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৭.৪৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৫.১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬.৪২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৬৫ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং ১.২৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩.০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.২০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৫.১১ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬.১৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১.২৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো হলো:

১. চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানো।

২. বেপরোয়া গতি ও বিপজ্জনক ওভারটেকিং।

৩. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।

৪. ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল।

৫. চালকের কর্মঘণ্টা ও বেতন সুনির্দিষ্ট না থাকা।

৬. রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা। রাস্তার পাশে হাট-বাজার।

৭. যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।

৮. ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা।

৯. ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি ফলে সড়কে দুর্ঘটনা ক্রমবর্ধমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মার্চে ৫৪৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৯২, আহত ১১৬৭

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

গেল মার্চ মাসে সড়ক, রেল ও নৌ পথে মার্চে ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫৯২, আহত হয়েছেন ১১৬৭ জন।এর মধ্যে কেবল সড়ক পথে ৪৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন নিহত, ১১৩৮ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৫ এপ্রিল) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, একই সময় রেলপথে ৫৩টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত, ১৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ৯টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ হয়েছে। এ মাসে ১৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ৯৭ জন আহত হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭৯ জন চালক, ১০১ পথচারী, ৬০ পরিবহন শ্রমিক, ১২২ শিক্ষার্থী, ১৩ শিক্ষক, ১২ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯০ নারী, ৫০ শিশু, ২ সাংবাদিক, ৭ মুক্তিযোদ্ধা, ২ আইনজীবী ও একজন প্রকৌশলী এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

যার মধ্যে নিহত হয়েছে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ২ আনসার সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১৪০ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৩ পথচারী, ৬৭ নারী, ৩৭ শিশু, ৪২ শিক্ষার্থী, ২৫ পরিবহন শ্রমিক, ৯ শিক্ষক, ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩ চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ২ আইনজীবী ও ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এ সময়ে সংঘঠিত দুর্ঘটনায় ৬৬৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ১৬.৮১ শতাংশ বাস, ২৮.২৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৪.৬৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৩.৭৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৩.১২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪.১১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৯.৩০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংঘঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৭.৪৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৫.১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬.৪২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৬৫ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং ১.২৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩.০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.২০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৫.১১ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬.১৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১.২৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো হলো:

১. চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানো।

২. বেপরোয়া গতি ও বিপজ্জনক ওভারটেকিং।

৩. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।

৪. ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল।

৫. চালকের কর্মঘণ্টা ও বেতন সুনির্দিষ্ট না থাকা।

৬. রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা। রাস্তার পাশে হাট-বাজার।

৭. যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।

৮. ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা।

৯. ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি ফলে সড়কে দুর্ঘটনা ক্রমবর্ধমান।