ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাদেবপুরে হাত-পা বাঁধা স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার, আটক ১

নওগাঁ প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৫:১১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩ ৯১ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁর মহাদেবপুরে গতকাল রোববার সকালে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিতু আক্তার (১২) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বরুপপুর আদর্শগ্রামের মৃত কাজেম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের স্বরুপপুর গ্রামে।

নিহত মিতু স্বরুপপুর গ্রামের ময়নুল ইসলাম ময়েনের মেয়ে ও ধনজইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিমল কুমার মন্ডল একটি খাস পুকুর ইজারা নিয়ে যৌথভাবে মাছ চাষ করে আসছেন।

শনিবার রাত ১২ টার দিকে তারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ উঠিয়ে নিয়ে জনসাধারণের জন্য পুকুরটি উন্মুক্ত করে দিলে রাত ৩ টার দিকে বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ওই পুকুরে মাছ ধরতে নামেন। এ সময় মিতুর বাবা ময়নুল ইসলাম ময়েন ও ভাই রাকিব হোসেনও অন্যদের সাথে মাছ ধরতে নামেন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে তারা মাছ দিয়ে মিতুকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

মিতুর মা রেশমা খাতুন জানান, তার মেয়ে বাড়িতে মাছ রেখে রাত প্রায় ৪ টার দিকে আবারও মাছ আনতে পুকুরে আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সকালে তার ছেলে রাকিব ফিরে এসে মিতুর খোঁজ করলে জানতে পারেন মিতু পুকুর যায়নি। সকাল ৬ টার দিকে স্বরুপপুর আদর্শগ্রামের পাশে দুলাল হোসেনের স্ত্রী সাবিনা তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে একটি লাশ ভাসতে দেখে চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে পুকুর থেকে লাশটি তুলে আনে। এ সময় নিহতের ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে তার হাত ও পা বাঁধা ছিল, গলায় আঘাতের চিহ্নসহ ব্লিডিং হচ্ছিল। স্থানীয়দের ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশটি পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।

মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, ওসি মো. মোজাফফর হোসেন, ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, পিবিআইসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকলেও ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। ঋতুস্বাবের কারণেই হয়তোবা তার ব্লিডিং হচ্ছিল। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে হাত-পা বাঁধা স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার, আটক ১

আপডেট সময় : ০৫:১১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

নওগাঁর মহাদেবপুরে গতকাল রোববার সকালে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিতু আক্তার (১২) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বরুপপুর আদর্শগ্রামের মৃত কাজেম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের স্বরুপপুর গ্রামে।

নিহত মিতু স্বরুপপুর গ্রামের ময়নুল ইসলাম ময়েনের মেয়ে ও ধনজইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিমল কুমার মন্ডল একটি খাস পুকুর ইজারা নিয়ে যৌথভাবে মাছ চাষ করে আসছেন।

শনিবার রাত ১২ টার দিকে তারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ উঠিয়ে নিয়ে জনসাধারণের জন্য পুকুরটি উন্মুক্ত করে দিলে রাত ৩ টার দিকে বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ওই পুকুরে মাছ ধরতে নামেন। এ সময় মিতুর বাবা ময়নুল ইসলাম ময়েন ও ভাই রাকিব হোসেনও অন্যদের সাথে মাছ ধরতে নামেন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে তারা মাছ দিয়ে মিতুকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

মিতুর মা রেশমা খাতুন জানান, তার মেয়ে বাড়িতে মাছ রেখে রাত প্রায় ৪ টার দিকে আবারও মাছ আনতে পুকুরে আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সকালে তার ছেলে রাকিব ফিরে এসে মিতুর খোঁজ করলে জানতে পারেন মিতু পুকুর যায়নি। সকাল ৬ টার দিকে স্বরুপপুর আদর্শগ্রামের পাশে দুলাল হোসেনের স্ত্রী সাবিনা তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে একটি লাশ ভাসতে দেখে চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে পুকুর থেকে লাশটি তুলে আনে। এ সময় নিহতের ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে তার হাত ও পা বাঁধা ছিল, গলায় আঘাতের চিহ্নসহ ব্লিডিং হচ্ছিল। স্থানীয়দের ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশটি পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।

মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, ওসি মো. মোজাফফর হোসেন, ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, পিবিআইসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকলেও ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। ঋতুস্বাবের কারণেই হয়তোবা তার ব্লিডিং হচ্ছিল। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।