ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোজ্যতেল মজুদ ৩ লাখ, চিনি ২ লাখ টন

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

আসছে রমজানকে কেন্দ্র করে যখন বেশি ব্যবহার্য পণ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা ভর করেছে সবার মাঝে তখন সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। দেশের বড় বড় শিল্প গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মার্চ) ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত টাস্কফোর্স’ এর ষষ্ঠ সভায় দেশের ছয়টি বড় শিল্প গ্রুপের কাছে থাকা ভোজ্যতেল ও পাঁচটি গ্রুপের কাছে থাকা চিনির পরিমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। তাতে যে পরিমাণ দেখা গেছে স্বস্তিদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। এর বাইরে আমদানি করা চিনি, তেল ছাড়াও নিত্যপণ্যও দেশে আসার পথে রয়েছে বৈঠকে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ছয় শিল্প গ্রুপের কাছে বর্তমানে তিন লাখ দুই হাজার ১৬৩ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে।

অন্যদিকে পাঁচ শিল্প গ্রুপের কাছে চিনি মজুদ আছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৫৬৩ মেট্রিক টন। এছাড়া দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৫ টন ভোজ্যতেল এবং পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার ৫০ টন চিনি পাইপলাইনে রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সভায় ব্যবসায়ীদের কাছে ভোজ্যতেল ও চিনির মজুদ কী পরিমাণ আছে সে তথ্য উপস্থান করা হয়। পাশাপাশি পাইপলাইনে থাকার চিত্রও উপস্থান করা হয়।

এতে বলা হয়, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেড এবং বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে তিন লাখ দুই হাজার ১৬৩ টন ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে। এছাড়া পাইপলাইনে রয়েছে আরও দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৫ টন।

অপর দিকে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, আব্দুল মোনেম এবং দেশ বন্ধু সুগার লিমিটেডের কাছে চিনি মজুদ আছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৬৮ টন। আর পাইপলাইনে রয়েছে পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার টন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভোজ্যতেল ও চিনি সব থেকে বেশি মজুদ রয়েছে এস আলম গ্রুপের কাছে। এই গ্রুপটির কাছে এক লাখ ৮৪ হাজার ২৬৯ টন ভোজ্যতেল এবং ৮৬ হাজার ৯৮ দশমিক ৬৮ টন চিনি মজুদ আছে।

এর বাইরে এক লাখ ৮ হাজার টন ভোজ্যতেল এবং তিন লাখ ৮৫ হাজার টন চিনি পাইপলাইনে রয়েছে।

মেঘনা গ্রুপের কাছে ভোজ্যতেল মজুদ আছে ৪৬ হাজার ২৩৯ টন। আর পাইপলাইনে আছে ২২ হাজার টন ভোজ্যতেল। এ শিল্প গ্রুপের কাছে চিনি মজুদ আছে ৫০ হাজার টন। আর পাইপলাইনে আছে ৬০ হাজার ৫০০ টন চিনি।

এদিকে এক শিল্পগ্রুপ সিটির কাছে ২৩ হাজার ৮৬৪ টন ভোজ্যতেল এবং ৬৬ হাজার ৮৬৫ টন চিনি মজুদ আছে। আর পাইপলাইনে ভোজ্যতেল আছে ৩২ হাজার টন এবং চিনি আছে ৫৩ হাজার ৫৫০ টন।

আর টিকে গ্রুপের কাছে ২১ হাজার ৭৫০ টন, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের কাছে ২৩ হাজার ৯৪১ টন এবং বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে দুই হাজার ১০০ টন ভোজ্যতেল মজুদ আছে।

এর বাইরে টিকে গ্রুপের ৪৬ হাজার টন, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের ৩২ হাজার ৮৪৫ টন এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ৩৫ হাজার টন ভোজ্যতেল পাইপলাইনে রয়েছে।

আব্দুল মোনেম গ্রুপের কাছে চিনি মজুদ আছে ১৯ হাজার ১০০ টন এবং ৬০ হাজার টন চিনি পাইপলাইনে আছে। দেশবন্ধু সুগার লিমিটেডের আছে চিনি মজুদ আছে তিন হাজার ৫০০ টন এবং পাইপলাইনে আছে ৪০ হাজার টন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভোজ্যতেল মজুদ ৩ লাখ, চিনি ২ লাখ টন

আপডেট সময় : ১১:৩৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

আসছে রমজানকে কেন্দ্র করে যখন বেশি ব্যবহার্য পণ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা ভর করেছে সবার মাঝে তখন সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। দেশের বড় বড় শিল্প গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মার্চ) ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত টাস্কফোর্স’ এর ষষ্ঠ সভায় দেশের ছয়টি বড় শিল্প গ্রুপের কাছে থাকা ভোজ্যতেল ও পাঁচটি গ্রুপের কাছে থাকা চিনির পরিমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। তাতে যে পরিমাণ দেখা গেছে স্বস্তিদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। এর বাইরে আমদানি করা চিনি, তেল ছাড়াও নিত্যপণ্যও দেশে আসার পথে রয়েছে বৈঠকে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ছয় শিল্প গ্রুপের কাছে বর্তমানে তিন লাখ দুই হাজার ১৬৩ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে।

অন্যদিকে পাঁচ শিল্প গ্রুপের কাছে চিনি মজুদ আছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৫৬৩ মেট্রিক টন। এছাড়া দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৫ টন ভোজ্যতেল এবং পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার ৫০ টন চিনি পাইপলাইনে রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সভায় ব্যবসায়ীদের কাছে ভোজ্যতেল ও চিনির মজুদ কী পরিমাণ আছে সে তথ্য উপস্থান করা হয়। পাশাপাশি পাইপলাইনে থাকার চিত্রও উপস্থান করা হয়।

এতে বলা হয়, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেড এবং বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে তিন লাখ দুই হাজার ১৬৩ টন ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে। এছাড়া পাইপলাইনে রয়েছে আরও দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৫ টন।

অপর দিকে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, আব্দুল মোনেম এবং দেশ বন্ধু সুগার লিমিটেডের কাছে চিনি মজুদ আছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৬৮ টন। আর পাইপলাইনে রয়েছে পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার টন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভোজ্যতেল ও চিনি সব থেকে বেশি মজুদ রয়েছে এস আলম গ্রুপের কাছে। এই গ্রুপটির কাছে এক লাখ ৮৪ হাজার ২৬৯ টন ভোজ্যতেল এবং ৮৬ হাজার ৯৮ দশমিক ৬৮ টন চিনি মজুদ আছে।

এর বাইরে এক লাখ ৮ হাজার টন ভোজ্যতেল এবং তিন লাখ ৮৫ হাজার টন চিনি পাইপলাইনে রয়েছে।

মেঘনা গ্রুপের কাছে ভোজ্যতেল মজুদ আছে ৪৬ হাজার ২৩৯ টন। আর পাইপলাইনে আছে ২২ হাজার টন ভোজ্যতেল। এ শিল্প গ্রুপের কাছে চিনি মজুদ আছে ৫০ হাজার টন। আর পাইপলাইনে আছে ৬০ হাজার ৫০০ টন চিনি।

এদিকে এক শিল্পগ্রুপ সিটির কাছে ২৩ হাজার ৮৬৪ টন ভোজ্যতেল এবং ৬৬ হাজার ৮৬৫ টন চিনি মজুদ আছে। আর পাইপলাইনে ভোজ্যতেল আছে ৩২ হাজার টন এবং চিনি আছে ৫৩ হাজার ৫৫০ টন।

আর টিকে গ্রুপের কাছে ২১ হাজার ৭৫০ টন, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের কাছে ২৩ হাজার ৯৪১ টন এবং বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে দুই হাজার ১০০ টন ভোজ্যতেল মজুদ আছে।

এর বাইরে টিকে গ্রুপের ৪৬ হাজার টন, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের ৩২ হাজার ৮৪৫ টন এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ৩৫ হাজার টন ভোজ্যতেল পাইপলাইনে রয়েছে।

আব্দুল মোনেম গ্রুপের কাছে চিনি মজুদ আছে ১৯ হাজার ১০০ টন এবং ৬০ হাজার টন চিনি পাইপলাইনে আছে। দেশবন্ধু সুগার লিমিটেডের আছে চিনি মজুদ আছে তিন হাজার ৫০০ টন এবং পাইপলাইনে আছে ৪০ হাজার টন।