ভূমিকম্পে তুরস্কের ক্ষতি ৮৪ বিলিয়ন ডলার
- আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০০ বার পড়া হয়েছে
৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে গত সোমবার কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তার পর অন্তত ১০০ বার জোরালো আফটার শকে কাঁপে দুই দেশের মাটি। এতে গুঁড়িয়ে যায় দুই দেশের হাজার হাজার হাসপাতাল, স্কুল ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে দেশ দুটির লাখ লাখ মানুষ। প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে শুধু মাত্র তুরস্কেই ৮৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হতে পারে বলে দাবি করেছে একটি ব্যবসায়িক গ্রুপ।
তুর্কি এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড বিজনেস কনফেডারেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ক্ষতির মধ্যে হাজার হাজার বাড়ির মেরামতে সম্ভাব্য ৭০.৮ বিলিয়ন, জাতীয় আয়ের ক্ষতি বাবদ ১০.৪ বিলিয়ন এবং কার্যদিবসের ক্ষতি বাবদ ২.৯ বিলিয়ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ব্যবসায়িক গ্রুপটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারের ভুমিকম্প পরবর্তী প্রধান খরচ হবে আবাসন, ট্রান্সমিশন লাইন এবং অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং হাজার হাজার গৃহহীনদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী আশ্রয়ের চাহিদা মেটানো।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, এক বছরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত আবাসন পুনর্গঠন সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যেই সরকার এই বিষয়ে একটি কর্মসূচি প্রস্তুত করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের একসপ্তাহ পার হলেও মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও একেরপর এক মরদেহ বের করছে উদ্ধারকারীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজারে ছাড়িয়েছে।
সোমবার তুরস্কের জরুরি সমন্বয় কেন্দ্র সাকোম-এর বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৪৩ জনে পৌঁছেছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৪ জনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে নিহত হয়েছে ৩ হাজার ১৬০ জন। আর সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪১৪ জনের।
অন্যদিকে সপ্তম দিনের উদ্ধার অভিযানেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে প্রাণের সন্ধান মিলছে। উদ্ধারকারীরা বলছেন, যত সময় গড়াচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে। ভূমিকম্পের ১৪৭ ঘণ্টা পরেও ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ১০ বছর বয়সী এক মেয়েকে উদ্ধার করেছে তুরস্কের উদ্ধারকারী দল।
সূত্র: আলজাজিরা