ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের উদ্বোধন

ভারতের সাথে সর্ম্পকের নতুন মাইলফল “ময়া-সুলতানগঞ্জ” – খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধু ময়া-সুলতানগঞ্জ নয় ভারতের সাথে পর্যটক পরিবহনে অভাবনীয় জায়গায় চলে গেছি। ময়া-সুলতানগঞ্জ তারই একটি নতুন মাইল ফলক। বাংলাদেশ কারও সাথে বৈরিতা করে না সকলের সাথে বন্ধুত্ব রেখে পররাষ্ট্র নীতি তৈরি করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সুলতানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা গুলো বলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ প্রটোকলের আওতায় চালু হলো বহুল কাঙ্খিত রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এবং সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল। পদ্মা ও মহানন্দার মোহনায় অবস্থিত গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ অংশ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর এবং ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্যবাহী নৌযান চলাচল উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, রাজশাহীতে শুধু শিক্ষা না সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি জোনে পরিবর্তন করা হবে। এজন্য সরকার কাজ চলেছেন। বাংলাদেশে আমাদের স্থলবন্দর আছে ২৪টি। ১টি মিয়ানমার ও ২৩টি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে। আমাদের ১৭ টি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চলছে। ধীরে ধীরে বাকি সাতটি স্থলবন্দরও কাজ শুরু করা হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর নিয়ে আমরা নতুনভাবে ভাবছি। এই স্থলবন্দর আরও কীভাবে আমাদের জীবন-জীবিকা ও ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ঘটানো যায় সেভাবে আমরা কাজ করবো। সিল্কসিটি রাজশাহীকে ব্যবসা বাণিজ্যে তুলে আনা যায় তা কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীকে নিয়ে অনেক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। শিক্ষানগরীকে অর্থনৈতিক জোনে পরিণত করা যায় সেভাবে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত ক্রুজ সার্ভিস উদ্বোধন করেছি। আমাদের নয়টি ও ভারতে চারটি ক্রজ অতিক্রম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানায় প্রায় ১২০০ কিলোমিটার পথ আছে। বেনারশ থেকে হিব্রুগড় পর্যন্ত গেছে। সেখানে ২৮ জন ইউরোপিয়ান পর্যটক বাংলাদেশের অপার সৌর্ন্দর‌্য্য তারা উপভোগ করেছে। তারা শুধু অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করিনি বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে তারা দেখেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ছড়িয়ে পরেছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, রাজশাহী -১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মসচিব সেলিম ফকির।
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগপর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-মায়া গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌঘাটের মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য চালু ছিল। পরে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার বাংলাদেশ সীমান্তের সুলতানগঞ্জ নৌ-বন্দরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পরে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ঘাটটি নদী বন্দরের মর্যাদা পেলো। সুলতানগঞ্জ নৌ-বন্দরের মাধ্যমে এসব পণ্য ভারত থেকে আমদানিতে সময় ও খরচ কমে যাবে। এতে উপকৃত হবেন বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এই নৌপথে দুই দেশের মধ্যে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান ও মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত নৌরুটে নৌযান চালু ও রাজশাহীতে আন্তজার্তিক নৌবন্দর প্রতিষ্ঠায় গত ৫ বছর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এটি মেয়র লিটনের একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর চালু ও সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে নৌযান চলাচল শুরুর মাধ্যমে মেয়র লিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হলো এবং পূরণ হলো রাজশাহীবাসীর বহুল কাঙ্খিত স্বপ্ন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের উদ্বোধন

ভারতের সাথে সর্ম্পকের নতুন মাইলফল “ময়া-সুলতানগঞ্জ” – খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধু ময়া-সুলতানগঞ্জ নয় ভারতের সাথে পর্যটক পরিবহনে অভাবনীয় জায়গায় চলে গেছি। ময়া-সুলতানগঞ্জ তারই একটি নতুন মাইল ফলক। বাংলাদেশ কারও সাথে বৈরিতা করে না সকলের সাথে বন্ধুত্ব রেখে পররাষ্ট্র নীতি তৈরি করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সুলতানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা গুলো বলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ প্রটোকলের আওতায় চালু হলো বহুল কাঙ্খিত রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এবং সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল। পদ্মা ও মহানন্দার মোহনায় অবস্থিত গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ অংশ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর এবং ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্যবাহী নৌযান চলাচল উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, রাজশাহীতে শুধু শিক্ষা না সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি জোনে পরিবর্তন করা হবে। এজন্য সরকার কাজ চলেছেন। বাংলাদেশে আমাদের স্থলবন্দর আছে ২৪টি। ১টি মিয়ানমার ও ২৩টি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে। আমাদের ১৭ টি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চলছে। ধীরে ধীরে বাকি সাতটি স্থলবন্দরও কাজ শুরু করা হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর নিয়ে আমরা নতুনভাবে ভাবছি। এই স্থলবন্দর আরও কীভাবে আমাদের জীবন-জীবিকা ও ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ঘটানো যায় সেভাবে আমরা কাজ করবো। সিল্কসিটি রাজশাহীকে ব্যবসা বাণিজ্যে তুলে আনা যায় তা কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীকে নিয়ে অনেক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। শিক্ষানগরীকে অর্থনৈতিক জোনে পরিণত করা যায় সেভাবে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত ক্রুজ সার্ভিস উদ্বোধন করেছি। আমাদের নয়টি ও ভারতে চারটি ক্রজ অতিক্রম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানায় প্রায় ১২০০ কিলোমিটার পথ আছে। বেনারশ থেকে হিব্রুগড় পর্যন্ত গেছে। সেখানে ২৮ জন ইউরোপিয়ান পর্যটক বাংলাদেশের অপার সৌর্ন্দর‌্য্য তারা উপভোগ করেছে। তারা শুধু অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করিনি বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে তারা দেখেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ছড়িয়ে পরেছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, রাজশাহী -১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মসচিব সেলিম ফকির।
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগপর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-মায়া গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌঘাটের মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য চালু ছিল। পরে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার বাংলাদেশ সীমান্তের সুলতানগঞ্জ নৌ-বন্দরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পরে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ঘাটটি নদী বন্দরের মর্যাদা পেলো। সুলতানগঞ্জ নৌ-বন্দরের মাধ্যমে এসব পণ্য ভারত থেকে আমদানিতে সময় ও খরচ কমে যাবে। এতে উপকৃত হবেন বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এই নৌপথে দুই দেশের মধ্যে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান ও মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত নৌরুটে নৌযান চালু ও রাজশাহীতে আন্তজার্তিক নৌবন্দর প্রতিষ্ঠায় গত ৫ বছর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এটি মেয়র লিটনের একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর চালু ও সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে নৌযান চলাচল শুরুর মাধ্যমে মেয়র লিটনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হলো এবং পূরণ হলো রাজশাহীবাসীর বহুল কাঙ্খিত স্বপ্ন।