ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গুড়ায় সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের রূপ ও গন্ধে মাতোয়ারা চারদিক। প্রতি বছরের মতো এবারও সরিষা খেত থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সরিষা খেতের পাশে ফাঁকা জমিতে মৌমাছির জন্য শত শত বাক্স সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মৌমাছির দল ভোঁ ভোঁ শব্দ করে সরিষা ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু আহরণ করছে। মধু সংগ্রহ করে ফিরে যাচ্ছে মৌচাষিদের সাজানো বাক্সে। সেখানে তাদের সংগৃহীত মধু জমা রেখে আবার ফিরে যাচ্ছে সরিষাখেতে।

মৌচাষিরা জানান, একটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়। আর মৌ বাক্সের ভেতরে রাখা হয় রানি মৌমাছি। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। রানি মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে।

বাক্সের মাঝখানে নিচের দিকে ছিদ্র করে রাখা হয়। সেই পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে। বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ দিন। এরপর মধুচাষিরা বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে আসা মৌচাষি মানিক হোসেন বলেন, আমরা সরিষাখেত থেকে বছরে চার মাস মধু সংগ্রহ করে থাকি। অন্য আট মাস কৃত্রিম পদ্ধতিতে চিনি খাইয়ে মৌমাছিদের পুষে রাখা হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। সরিষা ছাড়াও লিচু, মিষ্টি কুমড়া, কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করা যায় বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান সোনালী নিউজকে জানান, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় জানা গেছে সরিষা ফুলে মৌমাছি মধু আহরণের ফলে স্বাভাবিক ফলনের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফলন বেশি হয়। সরিষা ফুলে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণের ফলে সরিষা ফলনে বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে। এতে করে মৌয়ালী ও কৃষক দুজনই লাভবান হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভাঙ্গুড়ায় সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

আপডেট সময় : ০৯:৫২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের রূপ ও গন্ধে মাতোয়ারা চারদিক। প্রতি বছরের মতো এবারও সরিষা খেত থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সরিষা খেতের পাশে ফাঁকা জমিতে মৌমাছির জন্য শত শত বাক্স সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মৌমাছির দল ভোঁ ভোঁ শব্দ করে সরিষা ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু আহরণ করছে। মধু সংগ্রহ করে ফিরে যাচ্ছে মৌচাষিদের সাজানো বাক্সে। সেখানে তাদের সংগৃহীত মধু জমা রেখে আবার ফিরে যাচ্ছে সরিষাখেতে।

মৌচাষিরা জানান, একটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়। আর মৌ বাক্সের ভেতরে রাখা হয় রানি মৌমাছি। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। রানি মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে।

বাক্সের মাঝখানে নিচের দিকে ছিদ্র করে রাখা হয়। সেই পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে। বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ দিন। এরপর মধুচাষিরা বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে আসা মৌচাষি মানিক হোসেন বলেন, আমরা সরিষাখেত থেকে বছরে চার মাস মধু সংগ্রহ করে থাকি। অন্য আট মাস কৃত্রিম পদ্ধতিতে চিনি খাইয়ে মৌমাছিদের পুষে রাখা হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। সরিষা ছাড়াও লিচু, মিষ্টি কুমড়া, কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করা যায় বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান সোনালী নিউজকে জানান, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় জানা গেছে সরিষা ফুলে মৌমাছি মধু আহরণের ফলে স্বাভাবিক ফলনের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফলন বেশি হয়। সরিষা ফুলে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণের ফলে সরিষা ফলনে বিপ্লব ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে। এতে করে মৌয়ালী ও কৃষক দুজনই লাভবান হয়।