ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরো চাষে বাড়তি খরচ, শঙ্কায় কৃষক

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

বেড়েছে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি। এছাড়া সেচযন্ত্রের জ্বালানি ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এতে বোরো ধান চাষে খরচ বাড়ছে। এবার নওগাঁয় বোরো ধান চাষে প্রতি বিঘা জমিতে বাড়তি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা।

কৃষকরা বলছেন, বোরো চাষে খরচ বাড়ছে। কিন্তু মৌসুম শেষে ধানের বাড়তি দাম না পেলে তাদের উৎপাদন খরচ উঠবে না। সরকারি সংগ্রহ অভিযানে ধান-চালের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের কাঙ্খিত বোরো আবাদের চিত্র। চারদিকে এখন গাঢ় সবুজের বিপ্লব। এখন কৃষকের স্বপ্নই হচ্ছে তার রোপণ করা ফসলের ভালো ফলন কিভাবে ঘরে তোলবে। তবে বিদ্যুৎ, ডিজেল, কীটনাশক ও শ্রমিকসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বোরো চাষিরা হতাশ।

মহাদেবপুর উপজেলার উত্তর-গ্রাম এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, আমাদের অবস্থা যেন-মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। সরকারের উচিত ছিল কৃষি এবং কৃষকের কথা চিন্তা করে ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা। কিন্তু কেউ তো তা করছে না। এখন ডিজেল-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষকের ওপর দিয়েই ধকল যাচ্ছে। এভাবে যদি প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাড়তে থাকে, তাহলে চাষাবাদ ছেড়ে অন্য কিছু ভাবতে হবে।

কৃষকরা বলছেন, এ বছর প্রতি বিঘায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা চাষে খরচও বেড়ে যাওয়ায় বোরো আবাদের অতিরিক্ত খরচে চরম হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে বর্গা নিয়ে ধান চাষ করা কৃষকরা। মৌসুম শেষে ধানের বাড়তি দাম না পেলে তাদের উৎপাদন খরচ উঠা নিয়ে যেমন আছেন শঙ্কায়, অন্যদিকে ফসলের ভালো ফলন ঘরে তোলা নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাই সরকারি সংগ্রহ অভিযানে ধানের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের ও ধান-চাল বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার জেলায় জিরাশাইল, কাটারি, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা।

বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের কৃষক ওয়াহেদ এবার সাড়ে ৬ বিঘা জমি বর্গা (আদি) নিয়ে বোরো ধান রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, গত বছর থেকে এ বছর বোরো ধান চাষে খরচ অনেক বেশি বেড়েছে। জমিতে হাল চাষ, সার, কীটনাশক, সেচ, শ্রমিকের মজুরির খরচ বেড়েই চলেছে। গত বছর ৭শ-৮শ টাকা বিঘা হিসেবে শ্রমিক দিয়ে ধান লেগে নিছিলাম এবার ১৫শ টাকা বিঘা হিসেবে জমিতে ধান লেগে নিছি। এছাড়াও সব ধরণের সারের দাম বেশি। কিটনাশকের দাম প্রায় দ্বিগুন হয়েে গেছে। গত বছর বিঘাতে সেচ নিয়েছিল ১৫শ টাকা বিঘা এবার নিচ্ছে ১৮শ টাকা বিঘা। এখন একজন শ্রমিক এক বেলা খাওয়া দিয়ে ৫শ টাকা দিতে হচ্ছে। সব মিলে এবার বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। ধান পেয়ে পেয়ে পাবো ২০ মণ। এর মধ্যে জমির মালিককে বিঘাতে ৭ মণ করে ধান দিতে হবে। তাহলে ধান চাষ করে কি লাভ হবে। এবার ধানের মণ তিন-চারশ টাকা বেশি না হলে কৃষকরা বাঁচবে না বলে মনে করেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক কোনোটাই এখন আর আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দাম বাড়ায় জমিতে সেচের টাকার পরিমাণ বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। কৃষকরা এত টাকা কেমন করে যোগান দিবে। এখন মরণ দশা কৃষকদের।

আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের আব্দুল লতিফ মূলত পোস্টমাস্টার। এরপাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। এবার তিনি সাড়ে চার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎতের দাম সরকারিভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি, জমি চাষ, লাগানো, নিরানিসহ বিভিন্ন কাজে গত বছরের চেয়ে এ বছর প্রতি বিঘায় প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। প্রতি মণ ধান ১৫শ থেকে ১৬শ টাকায় বিক্রি না হলে লোকসান গুণতে হবে।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের কৃষক শুকবার আলী বলেন, এবছর ধার-দেনা করে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বিঘা বোরো আবাদের শুরুতেই তার খরচ বেড়েছে ২ থেকে ২৫শ টাকা। শ্রমিকের মজুরি গত বছর ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে থেকে ৫শ টাকা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করায় খরচ অনেক বেড়েছে। এই ধার-দেনার টাকায় ধান কাটার পরেই তা বিক্রি করতে হয়। তখন আবার ধানের দামও পাওয়া যায় না। ধান ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিককে বেশি টাকা দিয়ে ধান কেটে নিতে হয়। তাই এবছর সরকার কৃষকের দিকে নজর না দিলে কৃষকরা মরে যাবে বলে জানান।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একেএম মঞ্জুরে মাওলা বলেন, জেলায় এ বছর বোরো ধানের ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৯ শতাংশ অর্জিত হয়ে গেছে। কিছু জমিতে সরিষা ও আলু তোলার পরবর্তীতে ধান রোপণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।

তিনি বলেন, এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে। যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে খরচ বেড়ে যায়। এ বিষয়ে সরকার ধানের যেন দাম নির্ধারণ করে সেটির সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের সাথে সমন্বয় করে একটি দাম নির্ধারণ করবে। বাজারে ধানের দামও ভালো আছে। কৃষক ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার। সুত্রঃ ঢাকা মেইল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বোরো চাষে বাড়তি খরচ, শঙ্কায় কৃষক

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

বেড়েছে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি। এছাড়া সেচযন্ত্রের জ্বালানি ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এতে বোরো ধান চাষে খরচ বাড়ছে। এবার নওগাঁয় বোরো ধান চাষে প্রতি বিঘা জমিতে বাড়তি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা।

কৃষকরা বলছেন, বোরো চাষে খরচ বাড়ছে। কিন্তু মৌসুম শেষে ধানের বাড়তি দাম না পেলে তাদের উৎপাদন খরচ উঠবে না। সরকারি সংগ্রহ অভিযানে ধান-চালের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের কাঙ্খিত বোরো আবাদের চিত্র। চারদিকে এখন গাঢ় সবুজের বিপ্লব। এখন কৃষকের স্বপ্নই হচ্ছে তার রোপণ করা ফসলের ভালো ফলন কিভাবে ঘরে তোলবে। তবে বিদ্যুৎ, ডিজেল, কীটনাশক ও শ্রমিকসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বোরো চাষিরা হতাশ।

মহাদেবপুর উপজেলার উত্তর-গ্রাম এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, আমাদের অবস্থা যেন-মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। সরকারের উচিত ছিল কৃষি এবং কৃষকের কথা চিন্তা করে ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা। কিন্তু কেউ তো তা করছে না। এখন ডিজেল-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষকের ওপর দিয়েই ধকল যাচ্ছে। এভাবে যদি প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাড়তে থাকে, তাহলে চাষাবাদ ছেড়ে অন্য কিছু ভাবতে হবে।

কৃষকরা বলছেন, এ বছর প্রতি বিঘায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা চাষে খরচও বেড়ে যাওয়ায় বোরো আবাদের অতিরিক্ত খরচে চরম হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে বর্গা নিয়ে ধান চাষ করা কৃষকরা। মৌসুম শেষে ধানের বাড়তি দাম না পেলে তাদের উৎপাদন খরচ উঠা নিয়ে যেমন আছেন শঙ্কায়, অন্যদিকে ফসলের ভালো ফলন ঘরে তোলা নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাই সরকারি সংগ্রহ অভিযানে ধানের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের ও ধান-চাল বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার জেলায় জিরাশাইল, কাটারি, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা।

বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের কৃষক ওয়াহেদ এবার সাড়ে ৬ বিঘা জমি বর্গা (আদি) নিয়ে বোরো ধান রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, গত বছর থেকে এ বছর বোরো ধান চাষে খরচ অনেক বেশি বেড়েছে। জমিতে হাল চাষ, সার, কীটনাশক, সেচ, শ্রমিকের মজুরির খরচ বেড়েই চলেছে। গত বছর ৭শ-৮শ টাকা বিঘা হিসেবে শ্রমিক দিয়ে ধান লেগে নিছিলাম এবার ১৫শ টাকা বিঘা হিসেবে জমিতে ধান লেগে নিছি। এছাড়াও সব ধরণের সারের দাম বেশি। কিটনাশকের দাম প্রায় দ্বিগুন হয়েে গেছে। গত বছর বিঘাতে সেচ নিয়েছিল ১৫শ টাকা বিঘা এবার নিচ্ছে ১৮শ টাকা বিঘা। এখন একজন শ্রমিক এক বেলা খাওয়া দিয়ে ৫শ টাকা দিতে হচ্ছে। সব মিলে এবার বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। ধান পেয়ে পেয়ে পাবো ২০ মণ। এর মধ্যে জমির মালিককে বিঘাতে ৭ মণ করে ধান দিতে হবে। তাহলে ধান চাষ করে কি লাভ হবে। এবার ধানের মণ তিন-চারশ টাকা বেশি না হলে কৃষকরা বাঁচবে না বলে মনে করেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক কোনোটাই এখন আর আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দাম বাড়ায় জমিতে সেচের টাকার পরিমাণ বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। কৃষকরা এত টাকা কেমন করে যোগান দিবে। এখন মরণ দশা কৃষকদের।

আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের আব্দুল লতিফ মূলত পোস্টমাস্টার। এরপাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। এবার তিনি সাড়ে চার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎতের দাম সরকারিভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি, জমি চাষ, লাগানো, নিরানিসহ বিভিন্ন কাজে গত বছরের চেয়ে এ বছর প্রতি বিঘায় প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। প্রতি মণ ধান ১৫শ থেকে ১৬শ টাকায় বিক্রি না হলে লোকসান গুণতে হবে।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের কৃষক শুকবার আলী বলেন, এবছর ধার-দেনা করে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বিঘা বোরো আবাদের শুরুতেই তার খরচ বেড়েছে ২ থেকে ২৫শ টাকা। শ্রমিকের মজুরি গত বছর ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে থেকে ৫শ টাকা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করায় খরচ অনেক বেড়েছে। এই ধার-দেনার টাকায় ধান কাটার পরেই তা বিক্রি করতে হয়। তখন আবার ধানের দামও পাওয়া যায় না। ধান ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিককে বেশি টাকা দিয়ে ধান কেটে নিতে হয়। তাই এবছর সরকার কৃষকের দিকে নজর না দিলে কৃষকরা মরে যাবে বলে জানান।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একেএম মঞ্জুরে মাওলা বলেন, জেলায় এ বছর বোরো ধানের ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৯ শতাংশ অর্জিত হয়ে গেছে। কিছু জমিতে সরিষা ও আলু তোলার পরবর্তীতে ধান রোপণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।

তিনি বলেন, এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে। যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে খরচ বেড়ে যায়। এ বিষয়ে সরকার ধানের যেন দাম নির্ধারণ করে সেটির সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের সাথে সমন্বয় করে একটি দাম নির্ধারণ করবে। বাজারে ধানের দামও ভালো আছে। কৃষক ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার। সুত্রঃ ঢাকা মেইল