বেপরোয়া গাড়ি চালানো নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১
- আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
পাবনার ঈশ্বরদীতে ভটভটি ও লেগুনার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো নিয়ে স্থানীয় দোকানি ও রিকশাচালকের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন মামুন হোসেন (২৫) নামের এক রিকশাচালক। এ সময় গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে শহরের পশ্চিমটেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, রিকশাচালক রকি হোসেন (২৬) ও ছুরিকাঘাতে আহত সুমন (২৮) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে ভটভটি ও লেগুনার বেপরোয়া গতিতে চলাচল নিষেধ করে কড়ইতলা স্থানীয় দোকানিরা। এ নিয়ে লেগুনার চালকের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত দোকানি ও রিকশাচালকের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে লেগুনা চালকের পক্ষে ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন তিনটি মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে এসে ওই দোকানি ও রিকশাচালকের ওপর চড়াও হন।
তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে মামুন হোসেন ও রকি হোসেনকে গুলি করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহত এক আত্মীয় বলেন, ‘বেপরোয়া গাড়ি চালানোর গতি নিয়ে ঝামেলা হয় ভটভটি ও লেগুনার চালকদের সঙ্গে। পরে লেগুনার চালকের পক্ষে কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন লোকজন নিয়ে এসে মারামারি শুরু করে। এ সময় গোলাগুলিতে মামুন মারা যায়। মামুনের নাভির নিচে গুলি লেগেছে।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’