ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা । এতে করে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী রেশম কারখানা। গত ৬ মাস থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা বেতন পাননি। বেতন না পেয়ে মানবেতর জীযন-যাপন করছেন শ্রমিকরা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে সংসার খরচ চালাতে হিমশিম, পরিবারের সদস্যদের অসুখ-বিসুখের ফলে ওষুধ কিনতে পারছেন না। ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে ভর্তি করাতে না পারাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বাধ্য হয়ে বকেয়া বেতনের দ্রুত পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। গত ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করলেও এখনো টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

শ্রমিকদের হুশিয়ারী, আমাদের বেতন দেওয়ার মনোভাব এখনো দেখিনি। কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউই আমাদের সাথে কথা বলেনি। বেতন দেওয়ার কোন আশ্বাস না পেলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুমিয়ারী দেন শ্রমিকরা।

তাদের মূল দাবি ছয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হলে তারা কাজে ফিরবেন না। ফলে অচল হয়ে পড়েছে কারখানাটি। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে আবারও শুরু করে কারখানার শ্রমিকরা। আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। দৈনিক মজুরী ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছিলো। তবে সেটাও করেনি বরং আমাদের গত ৬ মাসের পুরো বেতন আটকিয়ে দিয়েছে। ফলে আমাদের সংসার চলছে না। অর্ধহারে অনাহারে দিন চলছে।

কারখানার এক বিধবা নারী শ্রমিক অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, আমি অসহায় এক বিধবা নারী, আমার মাথার উপর কেউ নাই। এখানে ইনকাম করে খায়। আমার মেয়েকে এখনো কলেজে ভর্তি করিনি। ঘরভাড়াসহ খাওয়া দাওয়ায় চরম অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের ৬ মাসের বেতন দেওয়া হোক। আমরা মেয়ে মানুষ হয়ে গত এক সপ্তাহ থেকে মেইন রাস্তায় আছি। মেয়ে বলে লজ্জা জনক হলেও বাধ্য হয়ে আমরা এই আন্দোলনে নেমেছি।

শ্রমিকরা আরো অভিযোগ করেন, আমরা শুনেছি আমাদের বেতন এসে বসে আছে তবে কি কারণে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না তা আমরা জানিনা।

এর আগে লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার এই রেশম কারখানা বন্ধ করে দেয়। তখন এই কারখানার ঋণের বোঝা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বন্ধ করে দেওয়ার সময় এই কারখানায় ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা

আপডেট সময় : ০৮:৪২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা । এতে করে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী রেশম কারখানা। গত ৬ মাস থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা বেতন পাননি। বেতন না পেয়ে মানবেতর জীযন-যাপন করছেন শ্রমিকরা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে সংসার খরচ চালাতে হিমশিম, পরিবারের সদস্যদের অসুখ-বিসুখের ফলে ওষুধ কিনতে পারছেন না। ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে ভর্তি করাতে না পারাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বাধ্য হয়ে বকেয়া বেতনের দ্রুত পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। গত ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করলেও এখনো টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

শ্রমিকদের হুশিয়ারী, আমাদের বেতন দেওয়ার মনোভাব এখনো দেখিনি। কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউই আমাদের সাথে কথা বলেনি। বেতন দেওয়ার কোন আশ্বাস না পেলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুমিয়ারী দেন শ্রমিকরা।

তাদের মূল দাবি ছয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হলে তারা কাজে ফিরবেন না। ফলে অচল হয়ে পড়েছে কারখানাটি। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে আবারও শুরু করে কারখানার শ্রমিকরা। আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। দৈনিক মজুরী ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছিলো। তবে সেটাও করেনি বরং আমাদের গত ৬ মাসের পুরো বেতন আটকিয়ে দিয়েছে। ফলে আমাদের সংসার চলছে না। অর্ধহারে অনাহারে দিন চলছে।

কারখানার এক বিধবা নারী শ্রমিক অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, আমি অসহায় এক বিধবা নারী, আমার মাথার উপর কেউ নাই। এখানে ইনকাম করে খায়। আমার মেয়েকে এখনো কলেজে ভর্তি করিনি। ঘরভাড়াসহ খাওয়া দাওয়ায় চরম অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের ৬ মাসের বেতন দেওয়া হোক। আমরা মেয়ে মানুষ হয়ে গত এক সপ্তাহ থেকে মেইন রাস্তায় আছি। মেয়ে বলে লজ্জা জনক হলেও বাধ্য হয়ে আমরা এই আন্দোলনে নেমেছি।

শ্রমিকরা আরো অভিযোগ করেন, আমরা শুনেছি আমাদের বেতন এসে বসে আছে তবে কি কারণে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না তা আমরা জানিনা।

এর আগে লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার এই রেশম কারখানা বন্ধ করে দেয়। তখন এই কারখানার ঋণের বোঝা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বন্ধ করে দেওয়ার সময় এই কারখানায় ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করতেন।