বুয়েট শিক্ষক নিখিলের বিরুদ্ধে চার্জগ্রহণ, গ্রেফতারে পরোয়ানা

- আপডেট সময় : ০৯:৪২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১১১ বার পড়া হয়েছে
ব্যাংক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। এছাড়া তাকে গ্রেফতার করতে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ব্যাংক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম।
আগামী ৯ মার্চের মধ্যে যশোরের কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষা হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে এই পরীক্ষায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তে নামে। পরে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে গত বছরের নভেম্বর মাসে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি পুলিশ। তবে মামলার অভিযোগপত্র থেকে শিক্ষক নিখিল রঞ্জনকে বাদ দেওয়া হয়।
ওই অভিযোগপত্র জমা পরার পরদিন ২৫ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাষ্ট্রপক্ষের কাছে তিনি জানতে চান, অভিযোগপত্র থেকে বুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে কেন, কীভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আরও তদন্ত করে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিতে নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর ৩১ জানুয়ারি অধ্যাপক নিখিলের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে অভিযোগেপত্র দেন এসআই শামীম।
তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে নিখিল ধরকে ‘পলাতক’ দেখিয়েছেন এবং কোনো আদালত থেকে জামিন না নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেন।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অধ্যাপক নিখিলের নাম উঠে আসে।
ওই ঘটনার পর ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান পদ এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে নিখিল ধরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।