ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরেছে ১০ হাজার কোটি টাকা

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

চার দিন উত্থান আর একদিন সূচক সামান্য পতনের মধ্য দিয়ে জানুয়ারি মাসের চতুর্থ সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত এ সপ্তাহে সূচক বেড়েছে। সূচক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি ৬২ লাখ ২৩ হাজার ২৩১ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি বেড়েছে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ২ হাজার ১৪৯ কোটি ৩০ লাখ ৬ হাজার ৮১৯ টাকা। অর্থাৎ টানা দুই সপ্তাহ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বাড়ল। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধারা দেখা গেছে।

বিদায়ী (২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি) সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম কর্মদিবস সূচক পতন, এরপর সোম থেকে বৃহস্পতিবার টানা চার কর্মদিবস সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টির। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ১১৪টির, কমেছিল ৬৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। সে হিসেবে আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম কমা কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে।

তবে বড় মূলধনী বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৩ হাজার ৫০ কোটি ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬১৫ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৮৫০ কোটি ৫২ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকা। অর্থাৎ ৮০০ কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৬ টাকা লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসেবে ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, আমরা নেটওয়ার্কস, বসুন্ধরা পেপার মিলস, রয়েল টিউলিপ সি পাল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ইস্টার্ন হাউজিং, মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এবং ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৫২ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৪ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৭০৭ টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ৮৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ফিরেছে ১০ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

চার দিন উত্থান আর একদিন সূচক সামান্য পতনের মধ্য দিয়ে জানুয়ারি মাসের চতুর্থ সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত এ সপ্তাহে সূচক বেড়েছে। সূচক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি ৬২ লাখ ২৩ হাজার ২৩১ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি বেড়েছে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ২ হাজার ১৪৯ কোটি ৩০ লাখ ৬ হাজার ৮১৯ টাকা। অর্থাৎ টানা দুই সপ্তাহ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বাড়ল। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধারা দেখা গেছে।

বিদায়ী (২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি) সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম কর্মদিবস সূচক পতন, এরপর সোম থেকে বৃহস্পতিবার টানা চার কর্মদিবস সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টির। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ১১৪টির, কমেছিল ৬৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। সে হিসেবে আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম কমা কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে।

তবে বড় মূলধনী বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৩ হাজার ৫০ কোটি ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬১৫ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৮৫০ কোটি ৫২ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকা। অর্থাৎ ৮০০ কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৬ টাকা লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসেবে ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, আমরা নেটওয়ার্কস, বসুন্ধরা পেপার মিলস, রয়েল টিউলিপ সি পাল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ইস্টার্ন হাউজিং, মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এবং ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ২৫২ টাকা। যা এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৪ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৭০৭ টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ৮৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।