ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
১২ দিনে রেমিট্যান্স এল পৌনে ১২ হাজার কোটি টাকা পাকিস্তানে পুলিশ সদর দফতরে জঙ্গি হামলায় ৩ পুলিশ নিহত নির্বাচিত সরকারই একমাত্র জনগণের জন্য কাজ করতে পারে: রিজভী দুর্গাপুরে অসুস্থতা আর আর্থিক অসচ্ছলতায় মা-মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৬৬৯ কৌঁসুলি নিয়োগ, তালিকা প্রকাশ রোহিঙ্গা নিয়ে প্রস্তাবে ড. ইউনূসের প্রশংসা জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধির গোদাগাড়ীতে ড্রাগন বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুঠিয়ায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৩ সাগর-রুনি হত্যায় বিগত সরকারের প্রভাবশালী অনেকে জড়িত

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হলেও গ্রামে লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

দেশে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তবুও প্রচণ্ড গরমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বিভিন্ন স্থানের মানুষ। কারিগরি কারণে রাজধানী ঢাকায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকায় ঢাকার বাইরে লোডশেডিংয়ে ভুগছেন মানুষ।

সিলেট পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, ১৩ এপ্রিল থেকে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ কমে আসে। এতে বাধ্য হয়ে এলাকাভেদে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মহাব্যবস্থাপক মো. আক্তারুজ্জামান লস্কর বলেন, সোমবার ঘাটতি ছিল ২০ মেগাওয়াট। বেলা বাড়ার সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। এক ঘণ্টা বা দেড় ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সিলেটে লোডশেডিং বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদ।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই লোডশেডিংয়ের কোনো রুটিন মানা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, আগামী মে মাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ধরে ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। টানা প্রচণ্ড গরমের কারণে এপ্রিলেই চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে গত রাতে ১৫ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট।

দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে গরম থাকছে বেশি। এ সময় সর্বোচ্চ উৎপাদন করা হচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এতে কখনো কখনো ঘাটতি থাকছে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

অবশ্য পরিস্থিতি গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ভালো। তখন ডলার-সংকটে পড়ে জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকার পরিকল্পিত লোডশেডিং করেছিল।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে ২২ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে জ্বালানির (গ্যাস, তেল, কয়লা, পানি) অভাবে উৎপাদন করা যাচ্ছে না দুই হাজার মেগাওয়াট। আর যান্ত্রিক ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণে থাকার কারণে উৎপাদন করা যাচ্ছে না ৩ হাজার ২৪১ মেগাওয়াট।

সব বিতরণ সংস্থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। এরপর তা গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা। ঢাকার বাইরে চারটি সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে ঢাকার বাইরে। গতকাল সোমবার দিনের বেলায় সর্বোচ্চ উৎপাদনের সময়েও সারা দেশে লোডশেডিং হয়েছে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এর আগে রাত একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত দেশে লোডশেডিং হয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ৫৫ শতাংশ তাদের অধীনে। গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে গ্রাম এলাকাতেও। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাটতি বেশি হচ্ছে। রাতেও হচ্ছে কিছু কিছু।

আরইবির তথ্য বলছে, গত রোববার তাদের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৫৫০ মেগাওয়াট। একই সময়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭৬৬ মেগাওয়াট। লোডশেডিং করা হয়েছে ১ হাজার ৭৮৪ মেগাওয়াট। গত বছর একই দিনে আরইবি লোডশেডিং করেছে মাত্র ১৩৩ মেগাওয়াট। গত শনিবার সর্বোচ্চ দুই হাজার ২২৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং করেছে আরইবি।

সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং করা হয়েছে খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে। এরপর বেশি লোডশেডিং হয়েছে রাজশাহী, রংপুর, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলে। ঢাকা বিভাগে লোডশেডিং ছিল নামমাত্র। আর বরিশাল অঞ্চলে কোথাও তেমন লোডশেডিং করা হয়নি।

কারিগরি সমস্যা ঢাকায়
রাজধানী ঢাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। এ দুটি সংস্থার তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদামতো সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন আধুনিকায়ন করা হয়নি।

তাই এখন বাড়তি সরবরাহ নিতে পারছে না কোনো কোনো বিদ্যুৎ বিতরণ ট্রান্সফরমার। আকস্মিকভাবে ট্রিপ (বন্ধ হয়ে যাওয়া) করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গতকাল ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিলেন বনশ্রী এলাকার মানুষ। গ্রীষ্মে ডেসকোর সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এবার ১ হাজার ২৯১ মেগাওয়াট পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে। এ সময় ডিপিডিসির স্বাভাবিক চাহিদা থাকার কথা ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৬৫ মেগাওয়াট।

গরমের কারণে অনেকে নতুন করে এসি বসাচ্ছেন। এতে অনুমোদনের চেয়ে বেশি লোড ব্যবহার করছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। ফলে গ্রাহকের লাইন চাপ নিতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও তাই ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না পেয়ে লোডশেডিংয়ের অভিযোগ করছেন গ্রাহকেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হলেও গ্রামে লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় : ১১:৫২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

দেশে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তবুও প্রচণ্ড গরমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বিভিন্ন স্থানের মানুষ। কারিগরি কারণে রাজধানী ঢাকায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকায় ঢাকার বাইরে লোডশেডিংয়ে ভুগছেন মানুষ।

সিলেট পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, ১৩ এপ্রিল থেকে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ কমে আসে। এতে বাধ্য হয়ে এলাকাভেদে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মহাব্যবস্থাপক মো. আক্তারুজ্জামান লস্কর বলেন, সোমবার ঘাটতি ছিল ২০ মেগাওয়াট। বেলা বাড়ার সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। এক ঘণ্টা বা দেড় ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সিলেটে লোডশেডিং বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদ।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই লোডশেডিংয়ের কোনো রুটিন মানা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, আগামী মে মাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ধরে ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। টানা প্রচণ্ড গরমের কারণে এপ্রিলেই চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে গত রাতে ১৫ হাজার ৬০৪ মেগাওয়াট।

দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে গরম থাকছে বেশি। এ সময় সর্বোচ্চ উৎপাদন করা হচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এতে কখনো কখনো ঘাটতি থাকছে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

অবশ্য পরিস্থিতি গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ভালো। তখন ডলার-সংকটে পড়ে জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকার পরিকল্পিত লোডশেডিং করেছিল।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে ২২ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে জ্বালানির (গ্যাস, তেল, কয়লা, পানি) অভাবে উৎপাদন করা যাচ্ছে না দুই হাজার মেগাওয়াট। আর যান্ত্রিক ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণে থাকার কারণে উৎপাদন করা যাচ্ছে না ৩ হাজার ২৪১ মেগাওয়াট।

সব বিতরণ সংস্থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। এরপর তা গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা। ঢাকার বাইরে চারটি সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে ঢাকার বাইরে। গতকাল সোমবার দিনের বেলায় সর্বোচ্চ উৎপাদনের সময়েও সারা দেশে লোডশেডিং হয়েছে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এর আগে রাত একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত দেশে লোডশেডিং হয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ৫৫ শতাংশ তাদের অধীনে। গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে গ্রাম এলাকাতেও। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাটতি বেশি হচ্ছে। রাতেও হচ্ছে কিছু কিছু।

আরইবির তথ্য বলছে, গত রোববার তাদের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৫৫০ মেগাওয়াট। একই সময়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭৬৬ মেগাওয়াট। লোডশেডিং করা হয়েছে ১ হাজার ৭৮৪ মেগাওয়াট। গত বছর একই দিনে আরইবি লোডশেডিং করেছে মাত্র ১৩৩ মেগাওয়াট। গত শনিবার সর্বোচ্চ দুই হাজার ২২৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং করেছে আরইবি।

সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং করা হয়েছে খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে। এরপর বেশি লোডশেডিং হয়েছে রাজশাহী, রংপুর, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলে। ঢাকা বিভাগে লোডশেডিং ছিল নামমাত্র। আর বরিশাল অঞ্চলে কোথাও তেমন লোডশেডিং করা হয়নি।

কারিগরি সমস্যা ঢাকায়
রাজধানী ঢাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। এ দুটি সংস্থার তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদামতো সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন আধুনিকায়ন করা হয়নি।

তাই এখন বাড়তি সরবরাহ নিতে পারছে না কোনো কোনো বিদ্যুৎ বিতরণ ট্রান্সফরমার। আকস্মিকভাবে ট্রিপ (বন্ধ হয়ে যাওয়া) করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গতকাল ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিলেন বনশ্রী এলাকার মানুষ। গ্রীষ্মে ডেসকোর সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এবার ১ হাজার ২৯১ মেগাওয়াট পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়েছে। এ সময় ডিপিডিসির স্বাভাবিক চাহিদা থাকার কথা ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৬৫ মেগাওয়াট।

গরমের কারণে অনেকে নতুন করে এসি বসাচ্ছেন। এতে অনুমোদনের চেয়ে বেশি লোড ব্যবহার করছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। ফলে গ্রাহকের লাইন চাপ নিতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও তাই ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না পেয়ে লোডশেডিংয়ের অভিযোগ করছেন গ্রাহকেরা।