ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার এবং বিদ্যুৎ সম্পর্কিত বিবিধ সেবার জন্য চার্জ/ফি পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

নতুন মূল্য অনুযায়ী গ্রাহক পর্যায়ে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য আগের চেয়ে ইউনিট প্রতি ১৯ পয়সা বেড়েছে। আর সবেচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে বেড়েছে ৫৪ পয়সা।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৪০ পয়সা, ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৫ টাকা ৭২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ১ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩০ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৩৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ৯ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১১ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৩ পয়সা করা হয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে বিইআরসিকে সমাহিত করা হলো। বিইআরসি কর্তৃক জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হতো। কিন্তু জবাবদিহিতার সে সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেল। অধ্যাদেশ আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকার নিজেদের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গেল। যার পরিণাম হবে ভয়াবহ। সরকার যখন-তখন বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জণগনের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেশি বাড়িয়ে দেবে।ইতোমধ্যে সেটা বেড়েও গেছে। কোনো জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রের চরিত্র এমন হতে পারে না।

এর আগে রোববার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানির আয়োজন করা হয়। তাতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব উত্থাপন করে বিদ্যুৎ বিতরণকারী ছয়টি প্রতিষ্ঠান। ওই শুনানিতে বিদ্যুতের দাম ১৫.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল বিইআরসির কারিগরি কমিটি।

তবে ওই সুপারিশের ভিত্তিতে নয়, সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে।

গত ৩০ নভেম্বর বিইআরসি অধ্যাদেশ ২০২২ সংশোধনের কারণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পায় সরকার। ওই অধ্যাদেশের আওতায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিলো বিদ্যুৎ বিভাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেট সময় : ০৬:৫১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার এবং বিদ্যুৎ সম্পর্কিত বিবিধ সেবার জন্য চার্জ/ফি পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

নতুন মূল্য অনুযায়ী গ্রাহক পর্যায়ে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য আগের চেয়ে ইউনিট প্রতি ১৯ পয়সা বেড়েছে। আর সবেচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে বেড়েছে ৫৪ পয়সা।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৪০ পয়সা, ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৫ টাকা ৭২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ১ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩০ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৩৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ৯ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১১ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৩ পয়সা করা হয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে বিইআরসিকে সমাহিত করা হলো। বিইআরসি কর্তৃক জ্বালানির মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হতো। কিন্তু জবাবদিহিতার সে সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেল। অধ্যাদেশ আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকার নিজেদের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গেল। যার পরিণাম হবে ভয়াবহ। সরকার যখন-তখন বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জণগনের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেশি বাড়িয়ে দেবে।ইতোমধ্যে সেটা বেড়েও গেছে। কোনো জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রের চরিত্র এমন হতে পারে না।

এর আগে রোববার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানির আয়োজন করা হয়। তাতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব উত্থাপন করে বিদ্যুৎ বিতরণকারী ছয়টি প্রতিষ্ঠান। ওই শুনানিতে বিদ্যুতের দাম ১৫.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল বিইআরসির কারিগরি কমিটি।

তবে ওই সুপারিশের ভিত্তিতে নয়, সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে।

গত ৩০ নভেম্বর বিইআরসি অধ্যাদেশ ২০২২ সংশোধনের কারণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পায় সরকার। ওই অধ্যাদেশের আওতায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিলো বিদ্যুৎ বিভাগ।