বিএনপি সমাবেশ করে দেশে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে : তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৬:১৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের দল আজকে যে সমাবেশ করছে এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে সমাবেশগুলো আমরা করেছি, সেগুলো শান্তি সমাবেশ। আর নয়াপল্টন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি যে সমাবেশগুলো করছে সেগুলো হচ্ছে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সমাবেশ। এই হচ্ছে আমাদের সমাবেশের সাথে তাদের সমাবেশের পার্থক্য।’
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপি, জামাতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’তে বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আর বিদেশিদের পদলেহন করে কোন লাভ হয় নাই। আমাদের নেতা-কর্মীরা সবসময় সতর্ক পাহারায়, সতর্ক অবস্থানে থেকে শান্তি সমাবেশ করার কারণে বিএনপি দেশে, ঢাকা শহরে অপচেষ্টা চালালেও অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে নাই।’
ড. হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে এসে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে এবং র্যা ব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রেনিং দিতে চায়, সহায়তা করতে চায়। এটি হচ্ছে তাদের সর্বশেষ ঘোষণা। সুতরাং বিদেশিদের পদলেহন করে বিএনপির কোন লাভ হয় নাই। আর আজ বিএনপি ৫৪ দল মিলে সমাবেশ করেছে, প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দল না ১৪ দল মিলে মঞ্চে ২৪ জন আর সামনে ছিল ১০ জন। আরো কয়েক জায়গায় বিএনপি সমাবেশ করেছে- দল হচ্ছে ১৪ টা, মানুষ একশ’র বেশি নাই।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিএনপির জোটে ছিল ২২ দল। সেটা ভেঙ্গে বানিয়েছে ১২ দল। দেশে জোট বড় হয় আর বিএনপির জোট ছোট হয়।’ হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল সরকার পদ্মা সেতু করতে পারবে না। এখন তারা গোপনে পদ্মা সেতু দিয়ে ওপারে যায় আর ওপারে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে। করোনার টিকার বিরুদ্ধেও বিএনপি অপবাদ দিয়েছিল। পরে নেতারা গোপনে টিকা নিয়েছেন। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশ খুশি কিন্তু বিএনপি খুশি না। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি কখন আপনারা মেট্রোরেলে চড়বেন।’
মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আর মির্জা আব্বাস সাহেব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি তাদের রোগ মুক্তি কামনা করি। মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু আর মির্জা আব্বাসসহ নেতাদের জন্য আমরা করোনার এক্সট্রা ডোজ রেখেছি। আপনাদের দরকার হলে এক্সট্রা ডোজ নেন। আপনারা সুস্থ থাকুন, সরকারের বিরোধিতা করুন। কিন্তু দয়া করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবেন না। তাহলে দেশের মানুষ অতীতের মতোই আপনাদের প্রতিহত করবে। আর নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে না আসলে অন্য কতগুলো দলের মতো আপনারাও হাওয়ায় মিলিয়ে যাবেন।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে সাপের মতো। যখনই সুযোগ পাবে তখনই ছোবল মারবে। তাই সবসময় সতর্ক থাকবে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো, সতর্ক থাকবো, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারিদের প্রতিহত করবো জনগণকে সাথে নিয়ে এবং নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে এনে আবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো। তার আগে যাবো না।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, এড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।