ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় ছাত্রীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় কলেজ শিক্ষক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর বাগমারায় শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার রাজশাহীর ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাঃ হাসানুজ্জামান তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর উপজেলার শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্রী আনিকা হাট গাঙ্গোপাড়া বাজার থেকে প্রাইভেট শেষে বাসায় ফিরছিলেন সে সময় তার পথরোধ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে লাঞ্ছিত করে ওই শিক্ষক।

বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামের লাঞ্ছনার আপমান সইতে না পেরে আত্মহননের উদ্দেশ্যে হারপিক পান করেন একই কলেজের মেধাবী ছাত্রী আনিকা (১৮)। ওই ঘটনায় আনিকার পিতা বাদী হয়ে প্রথমে বাগমারা থানায় সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশের তদন্তে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না হওয়ায় ১১ জানুয়ারি রাজশাহীর মহামান্য আদালতের নারী ও শিশু বিশেষ দমন ট্রাইবুনাল-২ এ, এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা বজলুর রশিদ। আদালতে দায়েরকৃত ওই মামলায় মঙ্গলবার জামিন আবেদন করেন শিক্ষক। ওই ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাঃ হাসানুজ্জামান তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে, অর্থাভাবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে আনিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে আনিকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলাম কলেজে একাধিক বার ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শিক্ষকের দ্বারা শ্লীলতাহানির ঘটনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে আনিকা। ঘটনার পর মেয়ের চিকিৎসায় সর্বস্ব শেষ করেছে ভ‚মিহীন পিতা। অর্থ না থাকায় ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে পারছেন না বজলুর রশিদ। মৃত্যুযন্ত্রণায় এখন বাড়িতেই কাতরাচ্ছেন আনিকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগমারায় ছাত্রীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় কলেজ শিক্ষক কারাগারে

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

রাজশাহীর বাগমারায় শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার রাজশাহীর ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাঃ হাসানুজ্জামান তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর উপজেলার শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্রী আনিকা হাট গাঙ্গোপাড়া বাজার থেকে প্রাইভেট শেষে বাসায় ফিরছিলেন সে সময় তার পথরোধ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে লাঞ্ছিত করে ওই শিক্ষক।

বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামের লাঞ্ছনার আপমান সইতে না পেরে আত্মহননের উদ্দেশ্যে হারপিক পান করেন একই কলেজের মেধাবী ছাত্রী আনিকা (১৮)। ওই ঘটনায় আনিকার পিতা বাদী হয়ে প্রথমে বাগমারা থানায় সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশের তদন্তে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না হওয়ায় ১১ জানুয়ারি রাজশাহীর মহামান্য আদালতের নারী ও শিশু বিশেষ দমন ট্রাইবুনাল-২ এ, এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা বজলুর রশিদ। আদালতে দায়েরকৃত ওই মামলায় মঙ্গলবার জামিন আবেদন করেন শিক্ষক। ওই ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাঃ হাসানুজ্জামান তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে, অর্থাভাবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে আনিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে আনিকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলাম কলেজে একাধিক বার ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শিক্ষকের দ্বারা শ্লীলতাহানির ঘটনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে আনিকা। ঘটনার পর মেয়ের চিকিৎসায় সর্বস্ব শেষ করেছে ভ‚মিহীন পিতা। অর্থ না থাকায় ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে পারছেন না বজলুর রশিদ। মৃত্যুযন্ত্রণায় এখন বাড়িতেই কাতরাচ্ছেন আনিকা।