ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা একপেশে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সরকারবিরোধী বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং মার্কিন প্রতিবেদনটা একপেশে।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ভর্তি, বিরোধী দলের এজেন্ট এবং ভোটারদের ভয় দেখানোসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পর্যবেক্ষকদের কাছে ওই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলে বিবেচিত হয়নি।

স্থানীয় সময় গত সোমবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন ওই প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিবেদনের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একপেশে এবং পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটিতে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং সেই প্রতিবেদনটা একপেশে।

হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েওতো অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনো নির্বাচনের পরাজয় মেনে নেয়নি। সেটার প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, সে ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনাতো আমাদের দেশে কখনো ঘটে নাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার আগে এবং প্রশ্ন তোলার আগে তাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে বা তাদের নির্বাচন হওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে যে হামলা হয়েছিল সেই বিষয়গুলোর দিকে তাদের তাকানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এখন ভবিষ্যতে দেখতে হবে যে, অন্য কোনো বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কিংবা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কি না। সেটিও দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা একপেশে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সরকারবিরোধী বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং মার্কিন প্রতিবেদনটা একপেশে।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি, নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ভর্তি, বিরোধী দলের এজেন্ট এবং ভোটারদের ভয় দেখানোসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পর্যবেক্ষকদের কাছে ওই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলে বিবেচিত হয়নি।

স্থানীয় সময় গত সোমবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন ওই প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিবেদনের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একপেশে এবং পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটিতে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং সেই প্রতিবেদনটা একপেশে।

হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েওতো অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনো নির্বাচনের পরাজয় মেনে নেয়নি। সেটার প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, সে ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনাতো আমাদের দেশে কখনো ঘটে নাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার আগে এবং প্রশ্ন তোলার আগে তাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে বা তাদের নির্বাচন হওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে যে হামলা হয়েছিল সেই বিষয়গুলোর দিকে তাদের তাকানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এখন ভবিষ্যতে দেখতে হবে যে, অন্য কোনো বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কিংবা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কি না। সেটিও দেখার বিষয়।