ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ২২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশকে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনার পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পে এ ঋণ দেয়া হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার মধ্যে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ^ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচটি প্রকল্প হলো: রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (আরআইভিইআর), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট সাসটেইনেবলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশান (বিইএসটি), অ্যাকসেলারেটিং ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রেড কানেক্টিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস)-বাংলাদেশ ফেজ-১, ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি) এবং সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ এন্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশনান (এসএমএআরটি)।
এসব প্রকল্পের মধ্যে অভিযোজন ও ঝুঁকি হ্রাসের জন্যে পাঁচশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট রয়েছে যা ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাস্তবায়নে প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রকল্প। এটি আভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নয়নে সহায়তা করবে।
দ্বিতীয় প্রকল্প ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল এন্ড ট্রান্সফরমেশান (বিইএসটি)। এটি বাংলাদেশে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।
তৃতীয় প্রকল্পটি হলো ৭৫৩.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে অ্যাকসেলারেটিং ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রেড কানেক্টিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস)-বাংলাদেশ ফেজ-১ যা ঢাকাকে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
চতুর্থ প্রকল্প ৫শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি) যা দেশকে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আর পঞ্চম ও সর্বশেষ প্রকল্প ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ এন্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশনান (এসএমএআরটি)। এটি ক্ষুদ্র শিল্প খাতকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধির খাতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ২২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

বাংলাদেশকে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনার পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পে এ ঋণ দেয়া হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার মধ্যে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ^ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচটি প্রকল্প হলো: রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (আরআইভিইআর), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট সাসটেইনেবলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশান (বিইএসটি), অ্যাকসেলারেটিং ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রেড কানেক্টিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস)-বাংলাদেশ ফেজ-১, ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি) এবং সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ এন্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশনান (এসএমএআরটি)।
এসব প্রকল্পের মধ্যে অভিযোজন ও ঝুঁকি হ্রাসের জন্যে পাঁচশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট রয়েছে যা ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাস্তবায়নে প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রকল্প। এটি আভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নয়নে সহায়তা করবে।
দ্বিতীয় প্রকল্প ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল এন্ড ট্রান্সফরমেশান (বিইএসটি)। এটি বাংলাদেশে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।
তৃতীয় প্রকল্পটি হলো ৭৫৩.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে অ্যাকসেলারেটিং ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রেড কানেক্টিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস)-বাংলাদেশ ফেজ-১ যা ঢাকাকে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
চতুর্থ প্রকল্প ৫শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি) যা দেশকে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আর পঞ্চম ও সর্বশেষ প্রকল্প ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ এন্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশনান (এসএমএআরটি)। এটি ক্ষুদ্র শিল্প খাতকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধির খাতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।