ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল আয়ারল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

সাগরিকায় টানা দুই ম্যাচ টস হেরে তৃতীয় ম্যাচে টস ভাগ্য সহায় হয়েছিল টাইগারদের। তবে টসের মতো ম্যাচের ভাগ্য সাকিব-লিটনদের হয়ে কথা বলেনি। শুরুতে টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতা, পরবর্তীতে বোলারদের দায়িত্বহীনতার বলি হয়ে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে হারের স্বাদ পেতে হলো স্বাগতিক বাংলাদেশের।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে টাইগারদের সাত উইকেটে হারিয়েছে আইরিশরা। তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে রেখেছিল বাংলাদেশ।

এদিকে আইরিশদের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই হোঁচট খায় সাকিব-লিটনরা। শুরুতেই ওপেনার লিটন কুমার দাসকে হারায় স্বাগতিকরা। এরপর এই ওপেনারের দেখানো পথে হাঁটেন নাজমুল হোসেন শান্তও।

পরবর্তীতে দলের হাল ধরার বদলে উল্টো চতুর্থ ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। এরপর ম্যাচের হাল ধরতে ব্যর্থ হয় টাইগারদের মিডেল অর্ডার ব্যাটাররাও। একে একে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংসের শেষভাগে শামীম হোসেনের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে টাইগাররা।

সবশেষ এই বাঁহাতির অপরাজিত ৫১ রানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১২৪ রান তুলে সাকিবের দল। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে শামীমের ব্যাট থেকে। আইরিশদের হয়ে মার্ক আডায়ার নেন তিনটি উইকেট। দুইটি উইকেট নেন ম্যাট হ্যাম্প্রেইস।

১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করে দুই আইরিশ ব্যাটার পল স্টার্লিং ও রস এডেয়ার। তবে পরক্ষনেই দৃশ্যপট পাল্টে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তাসকিনের আঘাতে সাজঘরের পথ ধরেন এডেয়ার। নয় বলে ৭ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড আউটের শিকার হন এই ডানহাতি ব্যাটার।

তবে ম্যাচের বাকিসময় খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা। সবশেষ আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের তাণ্ডবে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সাকিবের দল। তাসকিনের বলে হুক করে ছক্কা মেরে কার্টিস ক্যাম্ফার ১৪তম ওভারের শেষ বলেই জয় নিশ্চিত করে আয়ারল্যান্ড।

আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন স্টার্লিং। ক্যাম্ফারের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। আর বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন তাসকিন, শরিফুল ও অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন।

৩৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের এই দাপুটে জয়ে ধবলধোলাই এড়াল আয়ারল্যান্ড। আর বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই। টানা ৫ ম্যাচে জয়ের পর অবশেষে হারের স্বাদ পেল সাকিব-মুস্তাফিজরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল আয়ারল্যান্ড

আপডেট সময় : ১১:২৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

সাগরিকায় টানা দুই ম্যাচ টস হেরে তৃতীয় ম্যাচে টস ভাগ্য সহায় হয়েছিল টাইগারদের। তবে টসের মতো ম্যাচের ভাগ্য সাকিব-লিটনদের হয়ে কথা বলেনি। শুরুতে টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতা, পরবর্তীতে বোলারদের দায়িত্বহীনতার বলি হয়ে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে হারের স্বাদ পেতে হলো স্বাগতিক বাংলাদেশের।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে টাইগারদের সাত উইকেটে হারিয়েছে আইরিশরা। তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে রেখেছিল বাংলাদেশ।

এদিকে আইরিশদের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই হোঁচট খায় সাকিব-লিটনরা। শুরুতেই ওপেনার লিটন কুমার দাসকে হারায় স্বাগতিকরা। এরপর এই ওপেনারের দেখানো পথে হাঁটেন নাজমুল হোসেন শান্তও।

পরবর্তীতে দলের হাল ধরার বদলে উল্টো চতুর্থ ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। এরপর ম্যাচের হাল ধরতে ব্যর্থ হয় টাইগারদের মিডেল অর্ডার ব্যাটাররাও। একে একে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংসের শেষভাগে শামীম হোসেনের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে টাইগাররা।

সবশেষ এই বাঁহাতির অপরাজিত ৫১ রানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১২৪ রান তুলে সাকিবের দল। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে শামীমের ব্যাট থেকে। আইরিশদের হয়ে মার্ক আডায়ার নেন তিনটি উইকেট। দুইটি উইকেট নেন ম্যাট হ্যাম্প্রেইস।

১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করে দুই আইরিশ ব্যাটার পল স্টার্লিং ও রস এডেয়ার। তবে পরক্ষনেই দৃশ্যপট পাল্টে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তাসকিনের আঘাতে সাজঘরের পথ ধরেন এডেয়ার। নয় বলে ৭ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড আউটের শিকার হন এই ডানহাতি ব্যাটার।

তবে ম্যাচের বাকিসময় খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা। সবশেষ আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের তাণ্ডবে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সাকিবের দল। তাসকিনের বলে হুক করে ছক্কা মেরে কার্টিস ক্যাম্ফার ১৪তম ওভারের শেষ বলেই জয় নিশ্চিত করে আয়ারল্যান্ড।

আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন স্টার্লিং। ক্যাম্ফারের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। আর বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন তাসকিন, শরিফুল ও অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন।

৩৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের এই দাপুটে জয়ে ধবলধোলাই এড়াল আয়ারল্যান্ড। আর বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই। টানা ৫ ম্যাচে জয়ের পর অবশেষে হারের স্বাদ পেল সাকিব-মুস্তাফিজরা।