ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধ সকল গণমাধ্যম চালু না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩ ১১২ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা, জুলুম-নিপীড়ন বেড়েই চলেছে। সাগর-রুনিসহ কোনো সাংবাদিক হত্যার বিচার আজো হয়নি। একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করা হয়েছে। বক্তারা দৈনিক দিনকাল, দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশনসহ বন্ধ সকল গণমাধ্যম অবিলম্বে চালুর জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে নগরীর সোনাদিঘী মোড়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহা: আব্দুল আউয়াল। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাবির আরবী বিভাগের শিক্ষক ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের রাবি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান মুক্তা, আরইউজের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক দিনকালের রাজশাহী ব্যুরো চিফ আব্দুস সবুর, দৈনিক বার্তার মফস্বল সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাবির আই.বি.এ’র প্রফেসর ড. গোলাম আরিফ, রাবির চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হিরা সোবহান, অধ্যাপক হাম্মান আলী প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আরইউজের সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন। উপস্থিত ছিলেন আরইউজের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, সরকারকে মনে রাখা দরকার- গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করা যাবে না।

বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচশ’ গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছেন। তারা নানা কষ্টে দিনযাপন করছেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা আজ হুমকির মুখে। বক্তারা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বার্থবিরোধী সকল কালো আইন বাতিলের দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বন্ধ সকল গণমাধ্যম চালু না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি

আপডেট সময় : ০৪:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

রাজশাহীতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা, জুলুম-নিপীড়ন বেড়েই চলেছে। সাগর-রুনিসহ কোনো সাংবাদিক হত্যার বিচার আজো হয়নি। একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করা হয়েছে। বক্তারা দৈনিক দিনকাল, দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশনসহ বন্ধ সকল গণমাধ্যম অবিলম্বে চালুর জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে নগরীর সোনাদিঘী মোড়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহা: আব্দুল আউয়াল। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাবির আরবী বিভাগের শিক্ষক ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের রাবি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান মুক্তা, আরইউজের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক দিনকালের রাজশাহী ব্যুরো চিফ আব্দুস সবুর, দৈনিক বার্তার মফস্বল সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাবির আই.বি.এ’র প্রফেসর ড. গোলাম আরিফ, রাবির চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হিরা সোবহান, অধ্যাপক হাম্মান আলী প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আরইউজের সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন। উপস্থিত ছিলেন আরইউজের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, সরকারকে মনে রাখা দরকার- গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করা যাবে না।

বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচশ’ গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছেন। তারা নানা কষ্টে দিনযাপন করছেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা আজ হুমকির মুখে। বক্তারা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বার্থবিরোধী সকল কালো আইন বাতিলের দাবি জানান।