ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ, চালকসহ পাঁচজন নিহত

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ায় দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বগুড়ার দ্বিতীয় বাইপাসের শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর কদমতলী গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হযরত আলী (৩৫), ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী বাদশা (৬০) এবং অটোরিকশার যাত্রী গাবতলী উপজেলার কোলাকোপা গ্রামের শাহানা বেগম (৩৫)। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক ও ৮ বছরের শিশুর নাম–পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বগুড়া শহর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা (বগুড়া-থ-১১-২২৩৫) চারজন যাত্রী নিয়ে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কে সুজাবাদ এলাকায় মহাসড়ক থেকে বাগবাড়ি সড়কে অটোরিকশাটি পার হচ্ছিল। এমন সময় গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসের (গাইবান্ধা-ব-১১-০০১৪) সাথে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নারীসহ তিনজন মারা যান। স্থানীয় লোকজন আহত দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিকশা চালক হযরত আলী মারা যান।

হযরত আলীর ফুফু মর্জিনা বেওয়া বলেন, রাস্তা থেকেই লাশ গ্রামের বাড়ি কদমতলী নিয়ে যাওয়ার হয়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আট বছর বয়সী একজন কন্যা শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে শিশুটিও মারা যায় বলে জানিয়েছেন শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী।

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক-হেলাপার পালিয়ে যায়। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বাসটি পুড়ে যায়।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোহাম্মদ আলী বলেন, পুলিশ হেফাজতে তিনজনের মরদেহ আছে। অটোরিকশা চালক হযরত আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। সেখান থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বগুড়ায় বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ, চালকসহ পাঁচজন নিহত

আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বগুড়ায় দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বগুড়ার দ্বিতীয় বাইপাসের শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর কদমতলী গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হযরত আলী (৩৫), ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী বাদশা (৬০) এবং অটোরিকশার যাত্রী গাবতলী উপজেলার কোলাকোপা গ্রামের শাহানা বেগম (৩৫)। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক ও ৮ বছরের শিশুর নাম–পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বগুড়া শহর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা (বগুড়া-থ-১১-২২৩৫) চারজন যাত্রী নিয়ে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কে সুজাবাদ এলাকায় মহাসড়ক থেকে বাগবাড়ি সড়কে অটোরিকশাটি পার হচ্ছিল। এমন সময় গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসের (গাইবান্ধা-ব-১১-০০১৪) সাথে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নারীসহ তিনজন মারা যান। স্থানীয় লোকজন আহত দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিকশা চালক হযরত আলী মারা যান।

হযরত আলীর ফুফু মর্জিনা বেওয়া বলেন, রাস্তা থেকেই লাশ গ্রামের বাড়ি কদমতলী নিয়ে যাওয়ার হয়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আট বছর বয়সী একজন কন্যা শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে শিশুটিও মারা যায় বলে জানিয়েছেন শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী।

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক-হেলাপার পালিয়ে যায়। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বাসটি পুড়ে যায়।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোহাম্মদ আলী বলেন, পুলিশ হেফাজতে তিনজনের মরদেহ আছে। অটোরিকশা চালক হযরত আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। সেখান থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।