বগুড়ায় দরপত্র চুরির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
- আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
হাটের দরপত্র চুরির অভিযোগে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও বলেন, ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে জামাদারপুকুর হাটের দরপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে চুরি করে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইউএনও আরও বলেন, এছাড়া একই তারিখে অপর একটি নোটিশে কেন তাকে চূড়ান্ত অপসারণ করা হবে না তার জবাব চেয়ে পত্র পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বগুড়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২ মার্চ উপজেলা অডিটোরিয়ামে হাটের ইজারার জন্য প্রথম পর্যায়ের দরপত্র দাখিল ও উন্মুক্ত করা হয়। এ জামাদারপুকুর হাটের একটি দরপত্র চুরির অভিযোগ ওঠে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হলে ইউএনও সাইদা খানম ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকে রেখে দ্রুত দরপত্রটি ফেরতের জন্য চাপ দেন।
চাপের মুখে চেয়ারম্যানের সহযোগীরা কৌশলে জেলা কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান হাসিবুল হাসান সুরুজের নামে একটি দরপত্র জমা দেন। এ ঘটনায় ইউএনও অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মোজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
বরখাস্তের বিষয়ে জানতে মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।