বগুড়ায় খালা-ভাগ্নিকে গণধর্ষণ, সাত দিন পর পাঁচজন গ্রেফতার
![](https://desherawaj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৯:২৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার কাহালুর রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে খালা-ভাগ্নিকে গণধর্ষন ও ডাকাতির সাতদিন পর পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা ১২টায় জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৩ জুলাই রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রামে বড়পুকুর ব্রীজ এলাকায় গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতাররা হলেন—কাহালু থানার কুশলিহার গ্রামের আবুল কাশেম মানিক(৩৫), হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫),বাগইল গ্রামের রাকিব হাসান (২৩) শাকিল হোসেন(২৩) ও আতিক রহমান প্রান্ত (২২)।
পুলিশ সুপার জানান, কিশোরগঞ্জের ওই নারী নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টসে ক্লিনার হিসেবে চাকরি করেন। তিনি স্বামীর সাথে অভিমান করে গত ১২ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে রংপুরে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হন। সঙ্গে ছিলেন তার বোনের মেয়ে এবং সহকর্মী রব্বানী। রাত দুইটার দিকে বাসটি বগুড়ায় পৌঁছার পর নষ্ট হয়ে যায়। এসময় তারা রব্বানীর বন্ধু কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের কুশলিহার গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে যান। সেখানে রাত্রীযাপনের তারা পরদিন ১৩ জুলাই সন্ধ্যার পর আব্দুর রাজ্জাকের ভ্যানযোগ রংপুরের বাসে ওঠার জন্য রওনা করেন।
পথিমধ্যে বাগইল গ্রামের বড়পুকুর ব্রিজের কাছে গ্রেফতার ৫ জন ছাড়াও ৮-১০ জন যুবক ভ্যান থামিয়ে চালক রাজ্জাক ও যাত্রী রব্বানীকে মারধর করে খালা-ভাগ্নিকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে গণধর্ষণ করে। এছাড়া তাদের কাছে থাকা ৭২ হাজার টাকা, কানের দুল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদেরকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে বগুড়া শহরের সাতমাথায় এনে নারায়ণগঞ্জগামী বাসে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, খালা ও ভাগ্নি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে চিকিৎসা নিয়ে স্বামীসহ বুধবার বগুড়ায় আসেন। এরপর ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে এবং লুট করা টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করে।
গ্রেফতার পাঁচজনকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।