বগুড়ায় ফ্রি ফায়ার গেমস নিয়ে দ্বন্দ্বে সিফাতকে গলাকেটে হত্যা
- আপডেট সময় : ১০:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ায় ফ্রি-ফায়ার গেমসের আইডি নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হয় স্কুলছাত্র সিফাত (১২)। এ ঘটনায় জড়িত বন্ধুকে মঙ্গলবার ঢাকার মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশর গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করেছে ডিবি।বুধবার দুপুর ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম।
গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে শিশু সিফাতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সিফাত বগুড়া শহরের নূরানী মোড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে। সিফাত ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ সুপার বলেন, সিফাতের এক বন্ধু (শিশু হওয়ায় পুলিশ নাম প্রকাশ করেনি) কৌশলে সিফাতের কাছ থেকে ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি-পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয়। এরপর সিফাত আইডি ও পাসওয়ার্ড বার বার ফেরত চাইলে সে বন্ধু তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সিফাত ও তার কয়েকজন বন্ধুরা মিলে ওই বন্ধুকে চাপ দিয়ে আইডি ও পাসওয়ার্ড ফেরত দিতে বাধ্য করে। এই ঘটনায় ওই বন্ধুর সাথে সিফাতের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় এবং সে প্রতিশোধমুখী হয়ে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে সিফাত তার বড় বোনের মোবাইল ফোন মেরামত করার জন্য নিজ বাসা থেকে বের হয়। পথে তার সেই বন্ধুর সাথে দেখা হয় এবং সেই বন্ধু কৌশলে তার দাদার বাড়ি শিবগঞ্জের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছালে একটি বাঁশবাগানে ফ্রি-ফায়ার গেমস খেলার কথা বলে দুই জন আড্ডা দেয়। পরে সিফাত বাড়ি যাওয়ার কথা বললে ওই বন্ধুর আগে থেকেই কাছে থাকা চাপাতি দিয়ে পেছন থেকে সিফাতকে আঘাত করে। পরে সিফাত মাটিতে পড়ে গেলে মুখ চেপে গলা কাটে এবং বাম হাতের কবজির রগ কেটে দেয়। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত শেষে ওই বন্ধু ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকায় আত্মগোপনের জন্য পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, মোতাহার হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর হাসান, ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ ও শিবগঞ্জ থানার ওসি মুনজুরুল ইসলাম।