ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেলানী হত্যার এক যুগ, এখনো বিচার পায়নি পরিবার

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার এক যুগ আজ। দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি তার পরিবার।

বিচারিক কাজ ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকায় এখনও ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ফেলানীর বাবা-মা।

অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বিচারিক কাজ বিলম্বিত হলেও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রত্যাশা বিশিষ্টজনদের।

কুড়িগ্রাম সীমান্তে হত্যার পর কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয় ফেলানির লাশ। কিশোরী ফেলানীর মৃতদেহের সেই ছবি এখনো সীমান্ত হত্যার প্রতীক।

আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) ফেলানী হত্যার এক যুগ পূর্ণ হলো। দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন।

ফেলানীর লাশ কয়েক ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় তোলে।

পরে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফ’র বিশেষ আদালত।

বিজিবির আপত্তিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুন:বিচার শুরু হলেও সেখানে খালাস দেয়া হয় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফেলানী হত্যার এক যুগ, এখনো বিচার পায়নি পরিবার

আপডেট সময় : ০৬:৪০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার এক যুগ আজ। দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি তার পরিবার।

বিচারিক কাজ ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকায় এখনও ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ফেলানীর বাবা-মা।

অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বিচারিক কাজ বিলম্বিত হলেও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রত্যাশা বিশিষ্টজনদের।

কুড়িগ্রাম সীমান্তে হত্যার পর কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয় ফেলানির লাশ। কিশোরী ফেলানীর মৃতদেহের সেই ছবি এখনো সীমান্ত হত্যার প্রতীক।

আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) ফেলানী হত্যার এক যুগ পূর্ণ হলো। দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন।

ফেলানীর লাশ কয়েক ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় তোলে।

পরে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফ’র বিশেষ আদালত।

বিজিবির আপত্তিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুন:বিচার শুরু হলেও সেখানে খালাস দেয়া হয় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে।