ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রভাব বিস্তার করতেই যুবলীগ নেতাকে হত্যা : আব্দুল ওদুদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেছেন, রাজনৈতিক কোন্দলে নয়, বরং ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তার করতেই যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা করেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগে বিভক্তি সৃষ্টি করতেই এমন হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। ইদের আগে হত্যার সাথে জড়িতদের আটক করতে না পারলে ইদের পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। অবরোধ করা হবে সড়ক।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় জেলা শহরের ওয়ালটন মোড়স্থ নাহালা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, ঢাকা রেঞ্জের এক উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। খাইরুল আলম জেম হত্যার আগে তার নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও সেই পুলিশ কর্মকর্তার বিভিন্ন অপকর্মের চিত্র তুলে ধরে ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য রাখেন। এরপরই ঘটানো হয় হত্যাকান্ড। জানা যায়, সদর উপজেলার ১০ জনকে হত্যার তালিকা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যা করা হয়েছে।

জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ আরও বলেন, আ.লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ও বিভক্তি ছড়াতে গত ১০ দিনের মধ্যে তিনটি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা এসব হত্যা করেছে, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদেরকে আটক করছে না। হত্যাকান্ডের ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তারা নাকি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিষয়গুলো সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট অবহিত করা হয়েছে। আশা করি, কেন্দ্রীয় আ.লীগ এসব বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এসময় এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এমপি আব্দুল ওদুদ।

এদিকে, সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং তার অনুসারীরা। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সোনামসজিদ-রাজশাহী সড়কের শান্তিমোড়ে এই সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় বাঁশ দিয়ে সড়কের গতিরোধ করে নেতাকর্মীরা। এতে সড়কের দুই দিকে বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি দেখা যায়।

পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের অনুরোধে সড়ক থেকে সরে যায় নেতাকর্মীরা। এর আগে জেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।

দুপুর ১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে ওয়ালটন মোড়স্থ আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করে নেতাকর্মীরা। দলের পক্ষ থেকে নিহত খাইরুল আলম জেমকে দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসীসহ আ.লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে জেলা শহরের ফকিরপাড়া ইদগাহ ময়দানে প্রথম, নয়াগোলায় দ্বিতীয় ও শিবগঞ্জ উপজেলার মর্দানায় তৃতীয় জানাযা শেষে সেখানেই পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।দি

অন্যদিকে, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরেই প্রতিপক্ষ এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে। রাতেই সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করছে না পুলিশ। হত্যার জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হত্যার সাথে ১২-১৫ জন সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন উল্লেখ করে আবুল কালাম সাহিদ আরও বলেন, ঘটনার পর বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৪টা পর্যন্ত থানায় কোন এজাহার হয়নি। নিহতের স্বজনরা থানায় এজাহার করলে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইফতারি কিনে বাসায় ফেরার পথে শিবগঞ্জ পৌরসভার ০৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে জেলা শহরের উদয়ন মোড়ে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রভাব বিস্তার করতেই যুবলীগ নেতাকে হত্যা : আব্দুল ওদুদ

আপডেট সময় : ০৬:২৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেছেন, রাজনৈতিক কোন্দলে নয়, বরং ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তার করতেই যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা করেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগে বিভক্তি সৃষ্টি করতেই এমন হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। ইদের আগে হত্যার সাথে জড়িতদের আটক করতে না পারলে ইদের পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। অবরোধ করা হবে সড়ক।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় জেলা শহরের ওয়ালটন মোড়স্থ নাহালা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন, ঢাকা রেঞ্জের এক উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। খাইরুল আলম জেম হত্যার আগে তার নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও সেই পুলিশ কর্মকর্তার বিভিন্ন অপকর্মের চিত্র তুলে ধরে ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য রাখেন। এরপরই ঘটানো হয় হত্যাকান্ড। জানা যায়, সদর উপজেলার ১০ জনকে হত্যার তালিকা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যা করা হয়েছে।

জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ আরও বলেন, আ.লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ও বিভক্তি ছড়াতে গত ১০ দিনের মধ্যে তিনটি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা এসব হত্যা করেছে, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদেরকে আটক করছে না। হত্যাকান্ডের ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তারা নাকি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিষয়গুলো সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট অবহিত করা হয়েছে। আশা করি, কেন্দ্রীয় আ.লীগ এসব বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এসময় এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এমপি আব্দুল ওদুদ।

এদিকে, সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং তার অনুসারীরা। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সোনামসজিদ-রাজশাহী সড়কের শান্তিমোড়ে এই সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় বাঁশ দিয়ে সড়কের গতিরোধ করে নেতাকর্মীরা। এতে সড়কের দুই দিকে বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি দেখা যায়।

পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের অনুরোধে সড়ক থেকে সরে যায় নেতাকর্মীরা। এর আগে জেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।

দুপুর ১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে ওয়ালটন মোড়স্থ আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করে নেতাকর্মীরা। দলের পক্ষ থেকে নিহত খাইরুল আলম জেমকে দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসীসহ আ.লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে জেলা শহরের ফকিরপাড়া ইদগাহ ময়দানে প্রথম, নয়াগোলায় দ্বিতীয় ও শিবগঞ্জ উপজেলার মর্দানায় তৃতীয় জানাযা শেষে সেখানেই পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।দি

অন্যদিকে, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরেই প্রতিপক্ষ এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে। রাতেই সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করছে না পুলিশ। হত্যার জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হত্যার সাথে ১২-১৫ জন সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন উল্লেখ করে আবুল কালাম সাহিদ আরও বলেন, ঘটনার পর বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৪টা পর্যন্ত থানায় কোন এজাহার হয়নি। নিহতের স্বজনরা থানায় এজাহার করলে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইফতারি কিনে বাসায় ফেরার পথে শিবগঞ্জ পৌরসভার ০৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে জেলা শহরের উদয়ন মোড়ে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।