প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে বর্ণিল সাজে ময়মনসিংহ
- আপডেট সময় : ০৩:১৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
চার বছর পর আগামী শনিবার (১১ মার্চ) ময়মনসিংহে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সার্কিট হাউজ ময়দানে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য দেবেন দলীয় সভাপতি। প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে কেন্দ্র করে আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসছে গোটা ময়মনসিংহ।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, ময়মনসিংহ বিভাগ ও সিটি করপোরেশনসহ নানা উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ময়মনসিংহে আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বত্রই এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড আর তোরণে ছেয়ে গেছে নগরীর প্রতিটি সড়ক, সড়কদ্বীপসহ অলিগলি রাজপথ। জনসভাকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কাড়তে কয়েক কোটি টাকার তোরণ, ব্যানার আর প্যানাফ্লেক্স নির্মাণ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। মসিক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটুর উদ্যোগে নগরীজুড়ে পাঁচ শতাধিক বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন, তোরণ শোভা পাচ্ছে।
এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রায় ১৫ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। সমাবেশ সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। দলীয় প্রধানের আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে পৃথক বর্ধিত সভা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। নগর জুরে প্রতিটি সড়কে দিন-রত চলছে মাইকিং। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগমের মাধ্যমে ‘ময়মনসিংহের মাটি আ.লীগের ঘাঁটি’ পুরোনো এই প্রবাদটি নতুন করে আবারও প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চান নেতাকর্মীরা।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু ঢাকা মেইলকে বলেন, আশাকরি ভোটাররা প্রধানমন্ত্রীকে আবারও সরকার গঠনে সুযোগ দিবেন। এতে এবার চেয়ে আরও বেশি উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ বাসিকে দিবেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি কাজও করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি ময়মনসিংহকে বিভাগসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বদলে দিয়েছেন। আর এ কৃতজ্ঞতা থেকেই দলীয় সভানেত্রীকে স্বাগত জানাতে আমরা সর্বোচ্চটুকু করছি। আশা করছি জনসভায় ১০ থেকে ১৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটতে যাচ্ছে।
সিটি মেয়র আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে এই অঞ্চলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা হবে। প্রধানমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দেবেন তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। যা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করা এবং আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাল্টে গেছে বাংলাদের। তারই অংশ হিসেবে ময়মনসিংহেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নানা সাজে সজ্জিত হয়েছে ময়মনসিংহ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জননেত্রীর সমাবেশকে সফল করতে বিভাগের সকল কর্মকর্তা, প্রশাসন, নেতাকর্মীসহ সকলের সমন্বয়ে প্রস্তুতি চলছে। ১১ তারিখ সার্কিট হাউজ মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এখানে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম হবে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা ঢাকা মেইলকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তায় প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। বাড়ানো হয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা তৎপরতা। সমাবেশ মঞ্চের প্রথম সারিতে নিরাপত্তায় থাকবে এপিবিএন। সাধারণ মানুষের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সেজন্য ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সার্কিট হাউজের জনসভায় ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।