ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে গোদাগাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন বিএনপি হলো জনগণের আস্থার দল, জণগণের পাশে ছিল আছে থাকবে : শরীফ উদ্দিন সাবেক ৩ সিইসি ও কমিশনারদের নামে মামলা করবে বিএনপি সরকারকে চাপে ফেলতে সীমান্তে পুশ ইন করছে ভারত: ফখরুল খালেদা জিয়ার সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ আ.লীগকে নিষিদ্ধ করিনি, ভোটে থাকবে কি না সিদ্ধান্ত ইসির: ড. ইউনূস ইসরাইলি হামলায় ইরানে নিহত ৪৩০ ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৩৫২ গোদাগাড়ীতে পচা-বাসি খাবার বিক্রি ও খাবারে ক্ষতিকর কেমিকেল, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সুষ্ঠু নির্বাচন সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয় : সিইসি

পোশাক খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশের বেশি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক শিল্পখাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।এর আগের বছরে একই সময়ে এ আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এ সময়ে তৈরি পোশাক খাতে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ওভেন পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ১২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

এতে নিটওয়্যার খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে, ওভেন পণ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে ওভেন পণ্যের প্রবৃদ্ধি নিটওয়্যার এর চেয়ে তুলনামূলক বেশি।

যদি মাসিক হিসেব করা হয় জানুয়ারি (২০২৩) মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার যেখানে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ইপিবির প্রতিবেদনে উঠে আসা পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয় যে করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষ বের হয়ে এসেছে। মানুষের ঘরে থাকার প্রবণতা বদলেছে। কেননা নিটওয়্যার পণ্যের ব্যবহার কমেছে।

তিনি বলেন, যদিও আমরা মাসিক রপ্তানি আয় ৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করছি, তবুও এখানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সূচক বলছে, ২০২৩ সাল আমাদের জন্য বেশ কঠিন হবে টিকে থাকার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়ছে। ক্রেতারা ছোট-ছোট ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। যার প্রভাব কারখানাগুলোতে পড়ছে।

বিজিএমইএ’র এ পরিচালক বলেন, যদিও আমাদের রপ্তানি বাড়ছে, আমাদের কিন্তু ব্যয় বেড়েছে। গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। কাঁচামাল, পরিবহন খরচ বেড়েছে। উচ্চমূল্যের পণ্য আমরা বাধ্য হয়েই তৈরি করছি। এর মানে এ না যে রপ্তানির সঙ্গে আমাদের প্রফিটেবলিটি বেড়েছে। এ বিষয়ে আমাদের জোর দিতে হবে। আমাদের দেখতে হবে প্রবৃদ্ধিটা টেকসই হচ্ছে কিনা। রপ্তানিটা মুনাফাযোগ্য হচ্ছে কিনা। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের সামনের পরিস্থিতির দিকে সতর্কভাবে নজর রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পোশাক খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশের বেশি

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক শিল্পখাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।এর আগের বছরে একই সময়ে এ আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এ সময়ে তৈরি পোশাক খাতে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ওভেন পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ১২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

এতে নিটওয়্যার খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে, ওভেন পণ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে ওভেন পণ্যের প্রবৃদ্ধি নিটওয়্যার এর চেয়ে তুলনামূলক বেশি।

যদি মাসিক হিসেব করা হয় জানুয়ারি (২০২৩) মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার যেখানে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ইপিবির প্রতিবেদনে উঠে আসা পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয় যে করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষ বের হয়ে এসেছে। মানুষের ঘরে থাকার প্রবণতা বদলেছে। কেননা নিটওয়্যার পণ্যের ব্যবহার কমেছে।

তিনি বলেন, যদিও আমরা মাসিক রপ্তানি আয় ৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করছি, তবুও এখানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সূচক বলছে, ২০২৩ সাল আমাদের জন্য বেশ কঠিন হবে টিকে থাকার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়ছে। ক্রেতারা ছোট-ছোট ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। যার প্রভাব কারখানাগুলোতে পড়ছে।

বিজিএমইএ’র এ পরিচালক বলেন, যদিও আমাদের রপ্তানি বাড়ছে, আমাদের কিন্তু ব্যয় বেড়েছে। গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। কাঁচামাল, পরিবহন খরচ বেড়েছে। উচ্চমূল্যের পণ্য আমরা বাধ্য হয়েই তৈরি করছি। এর মানে এ না যে রপ্তানির সঙ্গে আমাদের প্রফিটেবলিটি বেড়েছে। এ বিষয়ে আমাদের জোর দিতে হবে। আমাদের দেখতে হবে প্রবৃদ্ধিটা টেকসই হচ্ছে কিনা। রপ্তানিটা মুনাফাযোগ্য হচ্ছে কিনা। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের সামনের পরিস্থিতির দিকে সতর্কভাবে নজর রাখতে হবে।