পুঠিয়ায় পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১০:১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ভূমি মন্ত্রানালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষর দিয়ে অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ভূমি মন্ত্রানালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষর দিয়ে একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন পুঠিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান। অভিযোগ পত্রটির আলোকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে সুপারিশ করেছেন পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু।
অভিযোগ পত্রে তিনি লেখেন,
বিষয়ঃ- মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুর খনন বন্ধ প্রসঙ্গে।
জনাব, আমি মৌসুমি রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ, পুঠিয়া, রাজশাহী ও সচেতন নাগরিক।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের আহাজারি এবং অভিযোগ। তিন ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন করছে। যা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুর খনন করে পাকা রাস্তা নষ্ট করছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাজের পরিধি সংকলন হয়ে যাচ্ছে এতে করে অভাব-অনটনে মানুষ নানাবিধ অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে। স্থানীয়দের অভিযোগ দিনের আলোয় প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন কাজ করলেও কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না প্রশাসন। জেলার পুঠিয়া উপজেলার রাস্তা নষ্ট করে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না কেউ । এছাড়াও কমছে আবাদযোগ্য জমি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও সরকারে রাস্তাঘাট। এসব অবৈধ কাজ বাংলাদেশ সংবিধানের অপরাধ বিচার ও দণ্ড আইন ১৫(১)এর ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কেউ বালু বা মাটি উত্তোলন করলে সেই ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ অনূর্ধ্ব দুই বছর কারাদন্ড বা ৫০ হাজার হইতে ঊর্ধ্বে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এছাড়াও এসব কর্ম পুলিশ আইন ১৮৬১ ও বাংলাদেশ কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন ২০১৬ এর ৪ নম্বর ধারা ও ইটভাটা আইন-২০১৩ এর ৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী। তারপরও আপনার এলাকায় আপনার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়াই ভূমির শ্রেণী পরিবর্তনের অনুমতিক্রমে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই বেশ কিছু জায়গায় সরকারি বিধি ভঙ্গ করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। পুকুর খননকারীদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চাইলে তিনি উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন এবং বিনিময়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিস পুলিশকে দিয়ে কাজ শুরু করছে। অনুমতির কাগজের বিষয়ে জানতে চাইলে কাগজ দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ এবং সার্কেল এসপি বিষয়টি জানেন বলেও দাবি করেন। এমতবস্থায় দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ করছি। এবং বিভিন্ন সময় অর্থ দিয়ে অন্যায়ভাবে কাজ চালিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। যা আমার কাছে মোটেও সমীচীন মনে হয়নি। স্থানীয় জনগণের মধ্যে পুকুর খননকে কেন্দ্র করে প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
অতএব উক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার মর্জি হয়।
এব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান বলেন, আমরা পুকুর খনন বন্ধের প্রতিবাদে গত মাসে মানববন্ধন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ভূমি মন্ত্রানালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্র দিয়েছি তারপরেও পুঠিয়ায় পুকুর খনন চলছে। উপজেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, পুকুর খনন বন্ধের পক্ষে আমরা কিন্তু কেন বন্ধ হচ্ছেনা তা জানিনা। আমরা সচেতন মহল সুধীসমাজ প্রত্যেকেই চাই অবৈধ পুকুর খননের কারণে মানুষের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে পুকুর খননের বিরুদ্ধে আমরা। কিভাবে এখনও পুকুর খনন চলছে তা জানিনা।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম চালাচ্ছি, থানা পুলিশ তাদেরকে ধরতে পারলে আমরা ভ্রাম্যমান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।