পাকিস্তানি সুন্দরীর ফাঁদে ভারতের বিজ্ঞানী, দিলেন মিসাইলের তথ্যও!
- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩ ৬১ বার পড়া হয়েছে
ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অতি জরুরি তথ্য পাকিস্তানকে পাচারে অভিযুক্ত হয়েছেন প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এর এক বিজ্ঞানী! মাস দুয়েক আগেই প্রদীপ কুরুলকর নামক সেই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্রের জঙ্গি দমন শাখা (এটিএস)। তাকে জেরায় জানা গেছে, ভারতের মিসাইল ও ড্রোন প্রোগ্রাম সংক্রান্ত বহু জরুরি তথ্য পাকিস্তানের গুপ্তচরের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মধুচক্রের ফাঁদে পড়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বিজ্ঞানী। তাদের হাতে কিছু ‘বিস্ফোরক’ চ্যাটও এসেছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তা থেকেই বোঝা গেছে, কোনও এক ‘লাস্যময়ী’ আইএসআই এজেন্টের ফাঁদে পা দিয়েছেন প্রদীপ। তারপরই তার হাতে গেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণার নানা গোপন তথ্য। খবর দ্য ওয়ালের
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের এটিএস এই মামলায় চার্জশিটও পেশ করেছে। জানা গেছে, ওই ‘লাস্যময়ী’ পাকিস্তানি গুপ্তচর এবং প্রদীপের চ্যাট থেকে স্পষ্ট, যৌন লালসার লোভেই ভারতের অনেক গোপন তথ্য পাচার করেছেন ডিআরডিওর রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিরেক্টর প্রদীপ।
যেভাবে ফাঁসানো হয় প্রদীপকে
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমে জারা দাশগুপ্ত এবং জুহি অরোরা নামে দু’জনের সঙ্গে আলাপ হয় ওই বিজ্ঞানীর। দু’টিই ছিল ভুয়া অ্যাকাউন্ট, যা পরিচালনা করতেন এক আইএসআই এজেন্ট। এমনভাবেই ফাঁদ পেতেছিল ওই এজেন্ট, যে জারা ও জুহির প্রেমে রীতিমতো হাবুডুবু খেতে থাকেন প্রদীপ। জারার সঙ্গেই অবশ্য বেশি জমে প্রদীপের প্রেম।
তিনি আন্দাজই করতে পারেননি, জারার অ্যাকাউন্ট দু’টির আড়ালে আদৌ কোনও নারী নেই! যৌন লালসায় রীতিমতো বুঁদ হয়ে মিটিওর মিসাইল, ব্রাহ্মোস, রাফাল– নিয়ে নানা কথা বলেছেন প্রদীপ!
এমনকী জারা দাশগুপ্তর চ্যাটে অগ্নি ৬ মিসাইলের লঞ্চার নিয়েও তথ্য দিয়ে দেন প্রদীপ। চার্জশিটে লেখা আছে, প্রদীপের থেকে জারা জানতে চেয়েছিল, অগ্নি ৬ মিসাইল লঞ্চারের পরীক্ষা সফল হয়েছিল কি না। এর জবাবে প্রদীপ মেসেজে লেখেন, ‘বেব, ওটা আমার ডিজাইন। সফল তো হতেই হবে।’
এখানেই শেষ নয়। প্রায় ৫ মাস ধরে এই আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে কথোপকথন চলে ডিআরডিও বিজ্ঞানী প্রদীপের। শেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে তার উপর সন্দেহ হয় ডিআরডিও কর্তৃপক্ষের এবং সেখান থেকে বিষয়টি জানানো হয় মহারাষ্ট্র এটিএসকে। তদন্তের পরে মে মাসে প্রদীপকে গ্রেফতার করে এটিএস।
পুণের বাসিন্দা প্রদীপ নিজে বিবাহিত। তার স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক। আইএসআই এজেন্ট ‘জারা’র ফাঁদে পড়ার পরে তারই কথামতো প্রদীপ নিজের ফোনে দু’টি অ্যাপ ইনস্টল করেছিলেন। তদন্তকারীদের ধারণা, সেই অ্যাপ থেকে প্রদীপের ফোন হ্যাক করা হয় এবং আরও বহু তথ্য পৌঁছে যায় পাকিস্তানে।