পবিত্র ঈদুল আজহা ২৯ জুন

- আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩ ২০৬ বার পড়া হয়েছে
দেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে আগামী ২৯ জুন বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।
সোমবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক সচিব মু আ হামিদ জমাদ্দার। পরে তিনি সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা করেন।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার রহমান কোরাইশী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহি জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান উপস্থিত ছিলেন।
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। এদিন মুসলিমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
ঈদুল আজহা মূলত ত্যাগ ও বিসর্জনের বার্তাবাহী একটি ইবাদত। এদিন পশু জবাইয়ের মাধ্যমে ত্যাগের একটি প্রতীকী প্রকাশ ঘটানো হয়। এর মাধ্যমে মনের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে নিজেকে নৈতিক ও আত্মিকভাবে পরিশীলিত করা হয়। তাই কোরবানি যেন লোক-দেখানো উৎসব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে তাগিদ করা হয়েছে কোরআন ও হাদিসে।
প্রায় দুই হাজার বছর আগে নিজের ছেলেকে জবাই করার মতো কঠিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম আ.-কে। সেই মহাপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইবরাহিম আ. খলিলুল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। প্রিয় সন্তানকে জবাই করার জন্য প্রস্তুত হলেও শেষ পর্যন্ত তা করতে হয়নি তাকে। এখান থেকেই পশু কোরবানির নির্দেশনা আসে উম্মতে মোহাম্মদির জন্য।