ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সবকিছু করছে সরকার’

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:১১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে সরকার।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আমরা ইনডেমনিটি বাতিল করে বিচার কাজ শুরু করি। যে দিন বিচারের রায়, সে দিন বিএনপি-জামায়াত হরতাল ডেকেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার না পাওয়ার যন্ত্রণা কী তা আমরা বুঝি, তাই সাধারণ মানুষের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন, বর্তমান সরকার এর সব করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না, সেই আইনও হয়েছিল এ দেশে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করে জাতির পিতা হত্যার বিচার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। দেশি-বিদেশি সব বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করেছি।’

বাংলাদেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল, উচ্চ আদালতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার রায় ঘোষণার মাধ্যমে সেটা দূর হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচাপতি খায়রুল হক এবং বিচারপতি তোফাজ্জল সাহেব রায় দিয়েছিলেন বলেই আমরা সেই রায় কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আদালতে রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ধারাটা প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আইনের শাসন আমরা নিশ্চিত করব। বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করব। কারণ, আমরাই ভুক্তভোগী। বিচার পাওয়ার অধিকার আমরা হারিয়েছিলাম। আমরা যখন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেখানে অনেক বাধা এসেছিল। সেই বাধা অতিক্রম করে, সেই অর্ডিনেন্স বাতিল করে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের হত্যার বিচারের কাজ শুরু করি। বিচারের রায় যেদিন দেওয়ার কথা সেদিন বিএনপি-জামায়াত হরতাল ডেকে ছিল। যাতে জজ সাহেব কোর্টে যেতে না পারেন, রায় দিতে না পারেন। তাছাড়া তার ওপরে অনেক জুলুম অত্যাচার করা হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত সাহসী একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কোনো কিছু মানেননি। সেই রায় গোলাম রসুল সাহেব দিয়ে যান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি। আবার বিচার শুরু হয়। তখনও অনেক বাধা আমাদের ছিল। যা হোক আল্লাহর রহমতে বিচার করে সেই রায় আমরা পেয়েছি, রায় কার্যকর করা হয়েছে। কিছু এখনও ফিউজিটিভ আছে। অনেকের খবর আমরা জানি।

সরকারপ্রধান বলেন, ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা বিজয় পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যারা বিচার করবে তাদের নিরাপত্তা, তাদের কাজ করার সুবিধা যাতে হয় সেদিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি আছে। সুপ্রিম কোর্টে বিজয় ৭১ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামসহ অন্যান্য অবকাঠামো করে দিয়েছি। আমরা সেটাই চাই যে, যারা বিচার করবেন এবং যারা বিচার চাইতে আসবে, সকলে যেন একটা সুষ্ঠু পরিবেশ পায়। ভালো পরিবেশ পেলে চিন্তা করারও একটা সুযোগ হয়। সঠিক চিন্তা করেই বিচার করতে হয়। এটা একটা কঠিন কাজ। কাজে সেই কাজটা যেন সহজ হয় সেই ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সবকিছু করছে সরকার’

আপডেট সময় : ১০:১১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে সরকার।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আমরা ইনডেমনিটি বাতিল করে বিচার কাজ শুরু করি। যে দিন বিচারের রায়, সে দিন বিএনপি-জামায়াত হরতাল ডেকেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার না পাওয়ার যন্ত্রণা কী তা আমরা বুঝি, তাই সাধারণ মানুষের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন, বর্তমান সরকার এর সব করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না, সেই আইনও হয়েছিল এ দেশে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করে জাতির পিতা হত্যার বিচার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। দেশি-বিদেশি সব বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করেছি।’

বাংলাদেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল, উচ্চ আদালতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার রায় ঘোষণার মাধ্যমে সেটা দূর হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচাপতি খায়রুল হক এবং বিচারপতি তোফাজ্জল সাহেব রায় দিয়েছিলেন বলেই আমরা সেই রায় কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আদালতে রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ধারাটা প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আইনের শাসন আমরা নিশ্চিত করব। বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করব। কারণ, আমরাই ভুক্তভোগী। বিচার পাওয়ার অধিকার আমরা হারিয়েছিলাম। আমরা যখন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেখানে অনেক বাধা এসেছিল। সেই বাধা অতিক্রম করে, সেই অর্ডিনেন্স বাতিল করে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের হত্যার বিচারের কাজ শুরু করি। বিচারের রায় যেদিন দেওয়ার কথা সেদিন বিএনপি-জামায়াত হরতাল ডেকে ছিল। যাতে জজ সাহেব কোর্টে যেতে না পারেন, রায় দিতে না পারেন। তাছাড়া তার ওপরে অনেক জুলুম অত্যাচার করা হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত সাহসী একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কোনো কিছু মানেননি। সেই রায় গোলাম রসুল সাহেব দিয়ে যান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি। আবার বিচার শুরু হয়। তখনও অনেক বাধা আমাদের ছিল। যা হোক আল্লাহর রহমতে বিচার করে সেই রায় আমরা পেয়েছি, রায় কার্যকর করা হয়েছে। কিছু এখনও ফিউজিটিভ আছে। অনেকের খবর আমরা জানি।

সরকারপ্রধান বলেন, ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা বিজয় পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যারা বিচার করবে তাদের নিরাপত্তা, তাদের কাজ করার সুবিধা যাতে হয় সেদিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি আছে। সুপ্রিম কোর্টে বিজয় ৭১ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামসহ অন্যান্য অবকাঠামো করে দিয়েছি। আমরা সেটাই চাই যে, যারা বিচার করবেন এবং যারা বিচার চাইতে আসবে, সকলে যেন একটা সুষ্ঠু পরিবেশ পায়। ভালো পরিবেশ পেলে চিন্তা করারও একটা সুযোগ হয়। সঠিক চিন্তা করেই বিচার করতে হয়। এটা একটা কঠিন কাজ। কাজে সেই কাজটা যেন সহজ হয় সেই ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।