ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টান পল্লীতে দস্যুদের গুলিতে নিহত ৪০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ প্লাতিউ’র জাইক অঞ্চলে বন্দুকধারী দস্যুদের হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

হামলাকারীদের সবাই মাহমুদা নামে মুসলিম সশস্ত্র সংগনের সদস্য এবং হামলার শিকারদের সবাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কৃষক।গত রোববার (১৩ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটেছে।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাইক-এ নিহতদের পরিবার পরিজনদের সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। হামলার প্রত্যক্ষদর্শী অ্যান্ডি ইয়াকুবু জানিয়েছেন, ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকান লুটপাট করেছে।

তিনি বলেছেন, হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। গত কয়েক বছরে নাইজেরিয়ায় এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট প্রায় সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।

এই বন্দুকধারী হামালকারীরা দেশটির ফুলানি জাতিসত্ত্বার অন্তর্ভূক্ত। ফুলানি জাতিসত্ত্বার লোকজনদের ধর্ম ইসলাম এবং ঐতিহ্যগত পেশা পশুপালন।

রোববার যারা হামলার শিকার হয়েছেন তারা ইরিগউই জাতিসত্ত্বার এবং তারা সবাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।

প্রসঙ্গত, দেশটির কৃষকদের অধিকাংশই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। অতীতে পানির দখল নিয়ে কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে প্রায়েই সংঘাত হতো। পরে কালক্রমে নাইজিরার শিথিল নিরাপত্তা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ফুলানি জাতিসত্ত্বার একটি অংশ ডাকাতে পরিণত হয়।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য বলছে, হামলা ও গোষ্ঠী সংঘাতের জেরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্লাতিও প্রদেশে ১ হাজার ৩৩৬ জন নিহত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টান পল্লীতে দস্যুদের গুলিতে নিহত ৪০

আপডেট সময় : ১২:০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ প্লাতিউ’র জাইক অঞ্চলে বন্দুকধারী দস্যুদের হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

হামলাকারীদের সবাই মাহমুদা নামে মুসলিম সশস্ত্র সংগনের সদস্য এবং হামলার শিকারদের সবাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কৃষক।গত রোববার (১৩ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটেছে।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাইক-এ নিহতদের পরিবার পরিজনদের সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। হামলার প্রত্যক্ষদর্শী অ্যান্ডি ইয়াকুবু জানিয়েছেন, ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকান লুটপাট করেছে।

তিনি বলেছেন, হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। গত কয়েক বছরে নাইজেরিয়ায় এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট প্রায় সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।

এই বন্দুকধারী হামালকারীরা দেশটির ফুলানি জাতিসত্ত্বার অন্তর্ভূক্ত। ফুলানি জাতিসত্ত্বার লোকজনদের ধর্ম ইসলাম এবং ঐতিহ্যগত পেশা পশুপালন।

রোববার যারা হামলার শিকার হয়েছেন তারা ইরিগউই জাতিসত্ত্বার এবং তারা সবাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।

প্রসঙ্গত, দেশটির কৃষকদের অধিকাংশই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। অতীতে পানির দখল নিয়ে কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে প্রায়েই সংঘাত হতো। পরে কালক্রমে নাইজিরার শিথিল নিরাপত্তা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ফুলানি জাতিসত্ত্বার একটি অংশ ডাকাতে পরিণত হয়।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য বলছে, হামলা ও গোষ্ঠী সংঘাতের জেরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্লাতিও প্রদেশে ১ হাজার ৩৩৬ জন নিহত হয়েছেন।