দুর্গাপুরে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
- আপডেট সময় : ০৮:০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ ১২৬ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী দুর্গাপুরে কিছুতেই থামছে না পুকুর খনন। উপজেলার সবখানেই তিন ফসলী জমিতে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন।ফসলী জমিতে পুকুর খনন নিয়ে এক শ্রেণীর দালালদের সাথে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ আহত হয়েছেন চারজন,আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
জানাগেছে উপজেলার ঝালুকা ইউপির সায়বাড় গ্রামের দলদলীর বিলে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননকে কেন্দ্র করে গতকাল ১৩ জানুয়ারী (শুক্রবার) বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে প্রতিবাদকারী মিঠুন নামে এক যুবক মারাত্মক আহত হয়েছে তার মাথায় ১২ টি সেলাই পড়েছে। এছাড়াও খননকারী মমিনুল, খলিল, দলিল আহত হয়েছেন। তারা সকলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক ব্যাক্তি জানান, এলাকাবাসীর দাবি ছিলো এখানে পুকুর খনন করলে পানির চলাচল ব্যাহত হয়ে পার্শ্ববর্তী জমি, মসজিদ, গোরস্থান সহ নানা প্রতিষ্ঠান বর্ষায় প্লাবিত হবে। জমি গুলো আর তিন ফসলী থাকবে না। কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতি জেনেও প্রভাবশালী মহল কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে অন্যের ফসল মারাই করে রাতে আঁধারে জোরপূর্বক পুকুর খনন করতে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে এই সংঘর্ষ হয়েছে এমনটি ধারণা স্থানিয়দের ।
আহত মিঠুন জানান, রাতের আঁধারে ভেকু গাড়ি নামিয়ে মাটি কাটতে শুরু করে। যেই জায়গায় পুকুর খনন শুরু করে ওখানে পুকুর হলে চারি দিকে প্লাবিত হবে। মসজিদ, গোরস্থান ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। সেই জন্য নামাজ শেষে গ্রামবাসী সহ আমরা প্রতিবাদ করলে। খননকারী মমিনুল বলেন, আমার ছেলে পুলিশ সদস্য সবকিছু ম্যানেজ করা আছে, তোরা কিছু করতে পারবি না। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমার মাথা ফাটিয়েছে ১২ টি সেলাই পড়েছে।
এবিষয়ে খননকারী মমিনুল জানান, আমাদের দীর্ঘদিন ধরে ৫ বিঘার মত জমি জলাবদ্ধ পতিত পড়ে আছে। সেই জন্য পুকুর খননের উদ্যোগ নেই। চারি দিকে খনন হয়েই গেছিলো আর মাত্র দুই তিন দিন লাগতো। নামাজ শেষে পুকুর পাড়ে গেলে কিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এনিয়ে আমরা তিন ভাই আহত হয়েছি। তারা যেসব অভিযোগ করছে তার সবকিছুই মিথ্যা।
দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি নাজমুল হক জানান, পুকুর খনন নিয়ে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।