ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুরে ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত, যুবক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার পাশেই প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে এক পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে এক যুবক। আহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম ফিরোজ আহম্মেদ (৩৭)। তিনি দুর্গাপুর থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। রোববার ২৫( ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুই টার সময় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই যুবককে ধাওয়া করে আটক পর পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা । আটকৃত যুবকের নাম সেলিম ইসলাম (৩০)। সে উপজেলার হোজা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
তবে কী কারণে ওই যুবক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করেছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ মোটরসাইকেল যোগে পুলিশের ড্রেস পরিহিত অবস্থায় থানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসছিলেন। এ সময় ওই যুবক দৌড়ে গিয়ে তার তাঁর বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করেন। তখন ওই পুলিশ সদস্য ফিরোজ মোটরসাইকেল দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু দূরে যেতেই তিনি পড়েন যান। পরে পথচারী ও থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার তামান্না খানম বলেন, তার বুকের ডান পাঁজরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অনেকটাই জখম হয়েছেন। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার স্বাস্থ্যর অবনতি দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটককৃত সেলিম জানান, তিনি আপেল খাওয়ার জন্য ছুরিটি কিনেছিলেন। ওই পুলিশ সদস্যকে সে ইচ্ছে করে ছুরিকাঘাত করেননি। কীভাবে যেন লেগে গেছে।
অপরদিকে আহত পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদের কাছে সহকর্মীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ওই যুবককে আমি চিনি না। কোনো দিন দেখিও নি। থানা থেকে বের হতেই একটা যুবক দৌড়ে এসে ছুরিকাঘাত করেন।
এদিকে আটক যুবক সেলিম রেজা মানসিক রোগী বলে জানিয়েছেন তার ভাই মজনু। তিনি জানান, তার ভাই সেলিমকে কর্মের সন্ধানের জন্য দেশের বাহিরে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। কাজের এক সময় সেখানে সে পুলিশের হাতে আটক হয়। এবং জেল খাটে। এরপর তাকে সেই দেশের পুলিশ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। গত দুই বছর আগে সে দেশে আসে। এর পর থেকে সে মানসিক রোগী হয়ে যায়। সেলিম কখন কি করেন তা ঠিক পায় না।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে ওই পুলিশ সদস্যকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে রাস্তায় ছুরিকাঘাত করল এটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ তাঁরা একে অপরকে কেউ চিনে না। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুর্গাপুরে ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত, যুবক আটক

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার পাশেই প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে এক পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে এক যুবক। আহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম ফিরোজ আহম্মেদ (৩৭)। তিনি দুর্গাপুর থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। রোববার ২৫( ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুই টার সময় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই যুবককে ধাওয়া করে আটক পর পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা । আটকৃত যুবকের নাম সেলিম ইসলাম (৩০)। সে উপজেলার হোজা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
তবে কী কারণে ওই যুবক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করেছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ মোটরসাইকেল যোগে পুলিশের ড্রেস পরিহিত অবস্থায় থানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসছিলেন। এ সময় ওই যুবক দৌড়ে গিয়ে তার তাঁর বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করেন। তখন ওই পুলিশ সদস্য ফিরোজ মোটরসাইকেল দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু দূরে যেতেই তিনি পড়েন যান। পরে পথচারী ও থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার তামান্না খানম বলেন, তার বুকের ডান পাঁজরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অনেকটাই জখম হয়েছেন। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার স্বাস্থ্যর অবনতি দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটককৃত সেলিম জানান, তিনি আপেল খাওয়ার জন্য ছুরিটি কিনেছিলেন। ওই পুলিশ সদস্যকে সে ইচ্ছে করে ছুরিকাঘাত করেননি। কীভাবে যেন লেগে গেছে।
অপরদিকে আহত পুলিশ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদের কাছে সহকর্মীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ওই যুবককে আমি চিনি না। কোনো দিন দেখিও নি। থানা থেকে বের হতেই একটা যুবক দৌড়ে এসে ছুরিকাঘাত করেন।
এদিকে আটক যুবক সেলিম রেজা মানসিক রোগী বলে জানিয়েছেন তার ভাই মজনু। তিনি জানান, তার ভাই সেলিমকে কর্মের সন্ধানের জন্য দেশের বাহিরে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। কাজের এক সময় সেখানে সে পুলিশের হাতে আটক হয়। এবং জেল খাটে। এরপর তাকে সেই দেশের পুলিশ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। গত দুই বছর আগে সে দেশে আসে। এর পর থেকে সে মানসিক রোগী হয়ে যায়। সেলিম কখন কি করেন তা ঠিক পায় না।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে ওই পুলিশ সদস্যকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে রাস্তায় ছুরিকাঘাত করল এটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ তাঁরা একে অপরকে কেউ চিনে না। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।