দরিদ্রের ঘাড়েও লুটপাটের দায় চাপাচ্ছে সরকার: সাকি
- আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে
সরকার এখন অতি দরিদ্রের ঘাড়েও দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় চাপাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাকি বলেন, ‘এক মাসে দুইবার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে এবং লাইফ লাইনে থাকা অতি দরিদ্রদের বিদ্যুতের দামেও হাত দিয়ে চরম স্বেচ্ছাচারিতার প্রকাশ ঘটালো বর্তমান জবাবদিহিতাহীন অগণতান্ত্রিক সরকার।’
সাকি বলেন, ‘আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারী অতি দরিদ্রদের ব্যবহার করা বিদ্যুতের মূল্য ৩.৭৫ টাকা বাড়িয়ে প্রথমে ৩.৯৪ এবং দ্বিতীয়বারে অর্থাৎ আজ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৪.১৪ টাকা। একইভাবে শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীদের পূর্বের মূল্য ছিল ৪.১৯ টাকা এবং দুইবারে বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৪.৬২ টাকা। এভাবে ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৫.৭২ টাকা থেকে বেড়ে ৬.০১ ও বর্তমানে ৬.৬২ টাকা করা হয়েছে, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬.৩০ টাকা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬.৩৪ থেকে বেড়ে ৬.৬৬ টাকা করা হয়েছে এভাবে প্রতিটি ভাগেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১৪ বছরে বিদ্যুতের মূল্য পাইকারি পর্যায়ে ১০ বার এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ বার মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। ন্যূনতম জবাবদিহিতার পদ্ধতি হিসেবে বিইআরসি-তে গণশুনানির আয়োজন করা হতো, ভোক্তাসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত শোনার সুযোগ ছিল, এখন সেটাও বন্ধ করে সরকারের একক সিদ্ধান্তে সব রকম জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করছে। জবাবদিহিতাহীন সরকার তাদের দুর্নীতি ও ভুলনীতির দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপাতে আর কোনো রাখঢাক রাখতে চাইছে না।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে চলতি মাসে। এক মাসে তিনবার দুই ধরনের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে খাদের কিনারে নিয়ে ঠেকিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষ প্রায় অনাহারে, সেখানে নতুন করে সরকার নিজেই বাড়তি খরচ চাপিয়ে দিচ্ছে।’
জোনায়েদ সাকি বিবৃতিতে বলেন, ‘শুধু তাই নয় লাইফ লাইনে থাকা অতি দরিদ্র্যদেরও সরকার আর রেহাই দিতে চাইছে না। তাদের মৌলিক চাহিদার দায়-দায়িত্ব নিতে না পারলেও বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’