ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মৃত্যু বেড়ে ৬০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১১০ বার পড়া হয়েছে

২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ও ভয়াবহ তুষারঝড়ে উত্তর আমেরিকার দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহরের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। সোমবার বাফেলো এবং এরি কাউন্টির বাকি অংশে শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড়ে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আগের রাতে এ সংখ্যা ছিল ১৩।

নিউ ইয়র্কের গভর্নর পরিস্থিতিকে একটি ‘যুদ্ধ অঞ্চল’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।

দেশ দুটিতে তুষারঝড়ে লাখো মানুষ বরফের স্তূপে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমেছে। তুষারপাতে হাজার হাজার বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঢেকে গেছে। লাখো বাসিন্দা ঘরের ভেতরে আটকে পড়েছে। এতে কয়েক শ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আরো প্রাণ হারাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র সোমবার বলেন, পশ্চিম নিউ ইয়র্কে ঝড়সম্পর্কিত ২৭টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর ২০টি নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে ঘটেছে। একটি মারাত্মক শীতকালীন তীব্র তুষারঝড় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ অংশকে ঢেকে দিয়েছে তা সপ্তাহব্যাপী অব্যাহত থাকবে। কিছু অঞ্চলে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

বৈরি আবহাওয়া কানাডার কাছে গ্রেট লেক থেকে মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর রিও গ্রান্ডে পর্যন্ত প্রসারিত। মার্কিন জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগই শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতার মুখে রয়েছে। রকি পর্বতমালার পূর্ব থেকে অ্যাপালাচিয়ান পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।

নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেন, শহরের প্রায় প্রতিটি ফায়ার ট্রাক শনিবার আটকা পড়ে। তিনি এই অঞ্চলে ‘চলমান ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা’কে মেনে চলতে সবাইকে আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মৃত্যু বেড়ে ৬০

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ও ভয়াবহ তুষারঝড়ে উত্তর আমেরিকার দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহরের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। সোমবার বাফেলো এবং এরি কাউন্টির বাকি অংশে শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড়ে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আগের রাতে এ সংখ্যা ছিল ১৩।

নিউ ইয়র্কের গভর্নর পরিস্থিতিকে একটি ‘যুদ্ধ অঞ্চল’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।

দেশ দুটিতে তুষারঝড়ে লাখো মানুষ বরফের স্তূপে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমেছে। তুষারপাতে হাজার হাজার বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঢেকে গেছে। লাখো বাসিন্দা ঘরের ভেতরে আটকে পড়েছে। এতে কয়েক শ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আরো প্রাণ হারাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র সোমবার বলেন, পশ্চিম নিউ ইয়র্কে ঝড়সম্পর্কিত ২৭টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর ২০টি নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে ঘটেছে। একটি মারাত্মক শীতকালীন তীব্র তুষারঝড় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ অংশকে ঢেকে দিয়েছে তা সপ্তাহব্যাপী অব্যাহত থাকবে। কিছু অঞ্চলে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

বৈরি আবহাওয়া কানাডার কাছে গ্রেট লেক থেকে মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর রিও গ্রান্ডে পর্যন্ত প্রসারিত। মার্কিন জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগই শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতার মুখে রয়েছে। রকি পর্বতমালার পূর্ব থেকে অ্যাপালাচিয়ান পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।

নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেন, শহরের প্রায় প্রতিটি ফায়ার ট্রাক শনিবার আটকা পড়ে। তিনি এই অঞ্চলে ‘চলমান ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা’কে মেনে চলতে সবাইকে আহ্বান জানান।