ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের অনন্য অবদান রয়েছে : শরীফ উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ করেই চালের বাজার অস্থির, কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৮ টাকা দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ এনবিআর চেয়ারম্যানের পুরো সংসদীয় আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা চায় ইসি একযোগে ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে ৪৪৪ জনকে আটক সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ বাস্তবায়নে ডিএমপির সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ, প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ ফখরুলের

তানোরে গর্ভবতি স্ত্রীকে মারপিট, পেটের ৭ মাসের সন্তানের মৃত্যু

আশরাফুল আলম , তানোর থেকে ঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ২২৯ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর তানোরে গর্ভবতি স্ত্রীকে মারপিট করায় পেটের ৭ মাসের সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত ২টার দিকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ওই প্রসুতীর মৃত বাচ্চা প্রসাব করান।

ময়না আক্তার মুক্তা (২৫) নামের ওই প্রসুতীর অবস্থা অবনতি হওয়ায় শনিবার বিকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

প্রসুতীর পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মাস আগে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের ময়না আক্তার মুক্তার সাথে একই ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের রবিউল ইসলামের বিয়ে হয়।

তবে রবিউলের দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না। বিয়ের পর রবিউল তার স্ত্রী ময়নাকে নিয়ে দেবিপুর মোড়ের পাশে জালাল আরমির বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

পারিবারিক কলহের জের ধরে এক সপ্তাহ আগে রবিউল তার ৭ মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী ময়নাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত অবস্থায় বাড়ির ভেতরে রেখে তালা দিয়ে চলে যায়।

৭ মাসের অন্তসত্তা ময়না নিজের মান সম্মানের ভরে কাউকে কিছু বলনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সে তার মাকে খবর দেয়। তার মা এসে বাড়ির তালা ভেঙ্গে ভেরতে যায়।

শুক্রবার রাতে ময়নার অবস্থা বেগতিক দেখে তার মা তাকে তানোর থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার ময়নার নরমালে ডেলিভারি করায়। তবে, বাচ্চা মৃত হয়।

তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তিরত প্রসুতী ময়না বলেন, আমার স্বামীর আমি দ্বিতীয় স্ত্রী। আমার বিয়ের পর আমার স্বামী রবিউল আমাকে বলেছিল আমার বাচ্চা হলে সে আমাকে তার তানোর সদরের জায়গা লিখে দিবে ।

জমি দিবেনা বিধায় সে আমার পেটে লাথি, কিল ঘুমি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চায়। আমি মৃত্যুও সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি কিন্তু আমার স্বামী আমাকে দেখতে আসেনি।

তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বাবু বলেন, রবিউল তার স্ত্রী অন্তসত্তা ময়নাকে মারপিট করেছে সে বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিল।

আমি রবিউলকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছিলাম কিন্তু রবিউল আমার কথার কোন কন্যপাত করেনি।

তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমি ওসি (তদন্ত) উসমান গনিকে তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তানোরে গর্ভবতি স্ত্রীকে মারপিট, পেটের ৭ মাসের সন্তানের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

রাজশাহীর তানোরে গর্ভবতি স্ত্রীকে মারপিট করায় পেটের ৭ মাসের সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত ২টার দিকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ওই প্রসুতীর মৃত বাচ্চা প্রসাব করান।

ময়না আক্তার মুক্তা (২৫) নামের ওই প্রসুতীর অবস্থা অবনতি হওয়ায় শনিবার বিকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

প্রসুতীর পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মাস আগে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের ময়না আক্তার মুক্তার সাথে একই ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের রবিউল ইসলামের বিয়ে হয়।

তবে রবিউলের দ্বিতীয় স্ত্রী ময়না। বিয়ের পর রবিউল তার স্ত্রী ময়নাকে নিয়ে দেবিপুর মোড়ের পাশে জালাল আরমির বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

পারিবারিক কলহের জের ধরে এক সপ্তাহ আগে রবিউল তার ৭ মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী ময়নাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত অবস্থায় বাড়ির ভেতরে রেখে তালা দিয়ে চলে যায়।

৭ মাসের অন্তসত্তা ময়না নিজের মান সম্মানের ভরে কাউকে কিছু বলনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে সে তার মাকে খবর দেয়। তার মা এসে বাড়ির তালা ভেঙ্গে ভেরতে যায়।

শুক্রবার রাতে ময়নার অবস্থা বেগতিক দেখে তার মা তাকে তানোর থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার ময়নার নরমালে ডেলিভারি করায়। তবে, বাচ্চা মৃত হয়।

তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তিরত প্রসুতী ময়না বলেন, আমার স্বামীর আমি দ্বিতীয় স্ত্রী। আমার বিয়ের পর আমার স্বামী রবিউল আমাকে বলেছিল আমার বাচ্চা হলে সে আমাকে তার তানোর সদরের জায়গা লিখে দিবে ।

জমি দিবেনা বিধায় সে আমার পেটে লাথি, কিল ঘুমি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চায়। আমি মৃত্যুও সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি কিন্তু আমার স্বামী আমাকে দেখতে আসেনি।

তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বাবু বলেন, রবিউল তার স্ত্রী অন্তসত্তা ময়নাকে মারপিট করেছে সে বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিল।

আমি রবিউলকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছিলাম কিন্তু রবিউল আমার কথার কোন কন্যপাত করেনি।

তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমি ওসি (তদন্ত) উসমান গনিকে তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম।