তাইজুলের ঘূর্ণিতে ২১৪ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড
- আপডেট সময় : ০৬:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩ ৯৯ বার পড়া হয়েছে
লাল-সবুজ জার্সিতে বাংলাদেশ যতটা উজ্জ্বল, সাদা পোশাকে ঠিক ততটাই বিবর্ণ। অতীত সমীকরণ দেখলে সবশেষ ৫ টেস্টের সবকটিতেই হেরেছে সাকিব-মুশফিকরা। এদিকে টেস্টে ক্রিকেটে ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ সিরিজের একমাত্র ম্যাচে মাঠে নামে টাইগাররা। খেলায় টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। আগে ব্যাট করতে নেমে তাইজুলের বোলিং তোপে প্রথমদিনের তৃতীয় সেশনেই ২১৪ রানে অল আউট হয়ে যায় আইরিশরা।
টেস্ট ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ড নবীন দল। ২০১৭ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলটির এটি মাত্র চতুর্থ টেস্ট। আইরিশরা এই সংস্করণে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছিল চার বছর আগে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে। এরপর আজ লাল বলে খেলতে নামে টাইগারদের বিপক্ষে। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে দিনের শুরুতে কমিন্সকে দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। ১০ বলে ৫ রান করে কমিন্স আউট হলে ভাঙে আইরিশদের ১১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাফল্য পান টাইগার আরেক পেসার ইবাদত হোসেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি আইরিশ ওপেনার জেমস ম্যাককলাম। ফলে ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় দ্বিতীয় স্লিপে, নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে। যেখানে দ্বিতীয় চেষ্টায় বল তালুবন্দি করেন শান্ত। ৩৪ বলে ১৫ রান করেন ম্যাককলাম।
অপরদিকে আইরিশদের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন তাইজুল। বাঁহাতি এ স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। আউট হওয়ার পর অবশ্য রিভিউ নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি। ৫০ বলে ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৪ রান তুলে নেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফার। তাদের জুটি আরও বড় হওয়ার আগে আঘাত হানে মিরাজ। ৯২ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ঠিক ৫০ রানের ইনিংস খেলে মিরাজের বলে বোল্ড হন টেক্টর।
তার বিদায়ের পর আর এক রান যোগ হতেই বিদায় নেন পিটার মুর। তাইজুলের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন ১ রান করা মুর। ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি ক্যাম্ফারও। ৭৩ বলে ৩৪ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন তাইজুলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে।
চা বিরতির পর আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন এবাদত। আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন অফ স্টাম্পের বাইরের শট বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার মুমিনুল হকের হাতে। ৫৫ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৯ রানে থামে তার ইনিংস। এরপর ৫৫ রানে বাকি তিন উইকেট হারিয়ে ২১৪ রানে অলআউট হয় অ্যান্ড্রু বালবির্নির দল।