ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋণের টাকা না পেয়ে নারীকে রাতে তালাবদ্ধ করে রাখল পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির ইসরাইলি বর্বরতায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত গ্লোবাল সুপার লিগ : খালেদের ৪ উইকেটে জয়ে শুরু রংপুরের ২১ জেলায় পানির নিচে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল টানা বৃষ্টির প্রভাব কাঁচাবাজারে, মরিচের কেজি প্রায় ৩০০ টাকা

ট্রাম্পের সেই ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস প্রায় ২৯ ঘণ্টার দীর্ঘ বিতর্কের পর ট্রাম্পের সেই তথাকথিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস করেছে। বিশাল কর ছাড় ও ব্যয় প্যাকেজের এই বিল যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এজেন্ডার একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ বৃহস্পতিবার ২১৮–২১৪ ভোটে বিলটির পক্ষে রায় দেয়।

হাউসের সব ২১২ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য বিলটির বিরোধিতা করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কেনটাকির রিপাবলিকান প্রতিনিধি থমাস ম্যাসি এবং পেনসিলভানিয়ার ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক, যারা নিজেদের দলের অবস্থান থেকে সরে এসে বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দেন।

বিলটি পাস হওয়ার পর প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসন তার দলের সহকর্মীদের প্রশংসা করেন।

এখন বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য হোয়াইট হাউসে পাঠানো হবে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা স্বাক্ষর করবেন। ট্রাম্প ইতিমধ্যে তার দলের আইনপ্রণেতাদের ৪ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের আগেই বিলটি পাস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

নতুন আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের সীমা অর্থাৎ ফেডারেল সরকার যতটুকু ঋণ নিতে পারবে— তা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়ানো হবে।

এছাড়া বিলটি অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে কয়েক দশক বিলিয়ন ডলার ব্যয় বরাদ্দ করেছে এবং ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে গৃহীত কর ছাড় স্থায়ীভাবে কার্যকর করবে।

এই ব্যয়ের অর্থ জোগাতে বিলটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচি মেডিকএইড এবং ফুড স্ট্যাম্প নামে পরিচিত নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি এসএনএপি–এর মতো সামাজিক কর্মসূচিগুলোতে কাটছাঁট করবে।

অরাজনৈতিক কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, নতুন এই বিলের ফলে আগামী ১০ বছরে আরও ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিমা থেকে বঞ্চিত হবেন।

তারা আরও পূর্বাভাস দিয়েছে এ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে।

ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বিলটিকে দরিদ্রদের সম্পদ ধনী মানুষের কাছে হস্তান্তর করার উদ্যোগ বলে সমালোচনা করেছেন, কারণ এই করছাড় মূলত উচ্চ আয়ের মানুষদের বেশি উপকার করবে।

অন্যদিকে ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান সমর্থকরা বলছেন, এই বিল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে এবং মেডিকএইডের মতো কর্মসূচিতে অপচয় ও জালিয়াতি কমাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাম্পের সেই ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস

আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস প্রায় ২৯ ঘণ্টার দীর্ঘ বিতর্কের পর ট্রাম্পের সেই তথাকথিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস করেছে। বিশাল কর ছাড় ও ব্যয় প্যাকেজের এই বিল যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এজেন্ডার একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ বৃহস্পতিবার ২১৮–২১৪ ভোটে বিলটির পক্ষে রায় দেয়।

হাউসের সব ২১২ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য বিলটির বিরোধিতা করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কেনটাকির রিপাবলিকান প্রতিনিধি থমাস ম্যাসি এবং পেনসিলভানিয়ার ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক, যারা নিজেদের দলের অবস্থান থেকে সরে এসে বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দেন।

বিলটি পাস হওয়ার পর প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসন তার দলের সহকর্মীদের প্রশংসা করেন।

এখন বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য হোয়াইট হাউসে পাঠানো হবে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা স্বাক্ষর করবেন। ট্রাম্প ইতিমধ্যে তার দলের আইনপ্রণেতাদের ৪ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের আগেই বিলটি পাস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

নতুন আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের সীমা অর্থাৎ ফেডারেল সরকার যতটুকু ঋণ নিতে পারবে— তা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়ানো হবে।

এছাড়া বিলটি অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে কয়েক দশক বিলিয়ন ডলার ব্যয় বরাদ্দ করেছে এবং ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে গৃহীত কর ছাড় স্থায়ীভাবে কার্যকর করবে।

এই ব্যয়ের অর্থ জোগাতে বিলটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচি মেডিকএইড এবং ফুড স্ট্যাম্প নামে পরিচিত নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি এসএনএপি–এর মতো সামাজিক কর্মসূচিগুলোতে কাটছাঁট করবে।

অরাজনৈতিক কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, নতুন এই বিলের ফলে আগামী ১০ বছরে আরও ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিমা থেকে বঞ্চিত হবেন।

তারা আরও পূর্বাভাস দিয়েছে এ সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে।

ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বিলটিকে দরিদ্রদের সম্পদ ধনী মানুষের কাছে হস্তান্তর করার উদ্যোগ বলে সমালোচনা করেছেন, কারণ এই করছাড় মূলত উচ্চ আয়ের মানুষদের বেশি উপকার করবে।

অন্যদিকে ট্রাম্পসহ রিপাবলিকান সমর্থকরা বলছেন, এই বিল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে এবং মেডিকএইডের মতো কর্মসূচিতে অপচয় ও জালিয়াতি কমাবে।