ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩ ১০২ বার পড়া হয়েছে

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তেজগাঁওয়ে রমজান মাস উপলক্ষ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এমন ইঙ্গিত দেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সাধারণত বরাবরই টিসিবির পণ্য বিক্রির প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যাপক চাহিদা দেখা যায়। কারণ, উচ্চমূল্যের নিত্যপণ্যের বাজারে সরকারি এই বিপণন সংস্থাটি ভর্তুকি মূল্যে বছরব্যাপী প্রতিমাসেই পণ্য বিক্রি থাকে। আগে ট্রাকে করে ঢাকাসহ সারাদেশে এই বিক্রি কার্যক্রম চালানো হতো। তবে এই কার্যক্রমকে আরও সহজ, স্বচ্ছ করার পাশাপাশি সুনির্দিষ্টভাবে যারা সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের কাছে এই পণ্য বিক্রি করতে গত বছর এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হয়।

বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে এক কোটি পরিবার কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। নতুন বছরে এই প্রথম পণ্য বিক্রি করছে তারা।

আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আগামীতে এই কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। টিপু মুনশি বলেন, কার্ডধারীরা যেন পণ্য পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দেওয়ার জন্য আমাদের এ কার্যক্রম। রমজান মাসের আগেই মানুষের হাতে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম যখন বেড়েছে, আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

টিপু মুনশি বলেন, আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। কার্ডধারীরা যেন পণ্য পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আগামীতে কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

এর আগে সরকারি বিপণন সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা শহরসহ সারাদেশে নির্ধারিত এক কোটি কার্ডধারীকে টিসিবির পণ্য পাবেন। টিসিবি জানায়, পবিত্র রমজান উপলক্ষে সারাদেশে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম দুই পর্বে করা হবে।

এতে বলা হয়, ভোক্তারা সর্বোচ্চ এক কেজি চিনি ৬০ টাকা দরে কিনতে পারবেন। মসুর ডাল ৭০ টাকা দরে দুই কেজি, সয়াবিন তেল লিটার ১১০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ২ লিটার, ছোলা ৫০ টাকা দরে এক কেজি এবং শুধু মাত্র ঢাকা শহরের জন্য ১০০ টাকা দরে সর্বোচ্চ এক কেজি খেজুর ক্রেতারা নিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মঞ্জুর প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তেজগাঁওয়ে রমজান মাস উপলক্ষ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এমন ইঙ্গিত দেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

সাধারণত বরাবরই টিসিবির পণ্য বিক্রির প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যাপক চাহিদা দেখা যায়। কারণ, উচ্চমূল্যের নিত্যপণ্যের বাজারে সরকারি এই বিপণন সংস্থাটি ভর্তুকি মূল্যে বছরব্যাপী প্রতিমাসেই পণ্য বিক্রি থাকে। আগে ট্রাকে করে ঢাকাসহ সারাদেশে এই বিক্রি কার্যক্রম চালানো হতো। তবে এই কার্যক্রমকে আরও সহজ, স্বচ্ছ করার পাশাপাশি সুনির্দিষ্টভাবে যারা সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের কাছে এই পণ্য বিক্রি করতে গত বছর এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হয়।

বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে এক কোটি পরিবার কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। নতুন বছরে এই প্রথম পণ্য বিক্রি করছে তারা।

আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আগামীতে এই কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। টিপু মুনশি বলেন, কার্ডধারীরা যেন পণ্য পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দেওয়ার জন্য আমাদের এ কার্যক্রম। রমজান মাসের আগেই মানুষের হাতে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম যখন বেড়েছে, আমাদের দেশেও তার প্রভাব পড়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

টিপু মুনশি বলেন, আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। কার্ডধারীরা যেন পণ্য পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আগামীতে কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

এর আগে সরকারি বিপণন সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা শহরসহ সারাদেশে নির্ধারিত এক কোটি কার্ডধারীকে টিসিবির পণ্য পাবেন। টিসিবি জানায়, পবিত্র রমজান উপলক্ষে সারাদেশে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম দুই পর্বে করা হবে।

এতে বলা হয়, ভোক্তারা সর্বোচ্চ এক কেজি চিনি ৬০ টাকা দরে কিনতে পারবেন। মসুর ডাল ৭০ টাকা দরে দুই কেজি, সয়াবিন তেল লিটার ১১০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ২ লিটার, ছোলা ৫০ টাকা দরে এক কেজি এবং শুধু মাত্র ঢাকা শহরের জন্য ১০০ টাকা দরে সর্বোচ্চ এক কেজি খেজুর ক্রেতারা নিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মঞ্জুর প্রমুখ।