ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশিদের ‘ঝেঁটিয়ে’ বিদায় করা হবে : বিজেপি সভাপতি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:১০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব অনুপ্রবেশকারী ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় নারীদের বিয়ে করেছেন, তাদের সন্তানদের আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না।’ খবর ইকোনমিক টাইমস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে এক জনসভায় ভাষণ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানেই তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ভারতের এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রেবশকারীদের ঝাড়খণ্ড থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে। তারা আমাদের স্থানীয় আদিবাসী বোনদের বিয়ে করে আদিবাসী জমির অধিকার পেতে চায়। তাদের সে ইচ্ছা পূরণ হবে না। তাদের কখনোই আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না। এমনকি তাদের সন্তাদেরও আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না।’

এ সময় জেপি নাড্ডা ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশের পেছনে ক্ষমতাসীন জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের জোট সরকার দায়ী বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ও জনমুক্তি মোর্চা (জেএমএম) সরকার ভোটের স্বার্থে ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হলে সব অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দেব।’

এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনি জনসভায় অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে পারলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।’

তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারকে ভারতের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বলেছিলেন। ঝাড়খণ্ডের জনগণের কাছে অমিত শাহ আহ্বান জানিয়েছিলেন, এই সরকারকে ছুড়ে ফেলার জন্য।

নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পুরো দেশের মধ্যে। এদের পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। যদি আপনারা দুর্নীতিকে রোধ করতে চান, তাহলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে।’

প্রসঙ্গত, চলতি মাসে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ রাজ্যে ৮১টি বিধানসভা আসন রয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর দুই দফায় ভোটগ্রহণ চলবে ঝাড়খণ্ডে। ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশিদের ‘ঝেঁটিয়ে’ বিদায় করা হবে : বিজেপি সভাপতি

আপডেট সময় : ১১:১০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব অনুপ্রবেশকারী ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় নারীদের বিয়ে করেছেন, তাদের সন্তানদের আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না।’ খবর ইকোনমিক টাইমস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে এক জনসভায় ভাষণ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানেই তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ভারতের এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রেবশকারীদের ঝাড়খণ্ড থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে। তারা আমাদের স্থানীয় আদিবাসী বোনদের বিয়ে করে আদিবাসী জমির অধিকার পেতে চায়। তাদের সে ইচ্ছা পূরণ হবে না। তাদের কখনোই আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না। এমনকি তাদের সন্তাদেরও আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না।’

এ সময় জেপি নাড্ডা ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশের পেছনে ক্ষমতাসীন জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের জোট সরকার দায়ী বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ও জনমুক্তি মোর্চা (জেএমএম) সরকার ভোটের স্বার্থে ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হলে সব অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দেব।’

এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনি জনসভায় অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে পারলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।’

তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারকে ভারতের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বলেছিলেন। ঝাড়খণ্ডের জনগণের কাছে অমিত শাহ আহ্বান জানিয়েছিলেন, এই সরকারকে ছুড়ে ফেলার জন্য।

নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পুরো দেশের মধ্যে। এদের পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। যদি আপনারা দুর্নীতিকে রোধ করতে চান, তাহলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে।’

প্রসঙ্গত, চলতি মাসে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ রাজ্যে ৮১টি বিধানসভা আসন রয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর দুই দফায় ভোটগ্রহণ চলবে ঝাড়খণ্ডে। ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।