ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেম হত্যার প্রধান আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা যুব মহিলা লীগ ও জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের কর্মীদের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে। এরপর থানায় মামলা হলে পুলিশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা শহরের বখাটে ছিনতাইকারী। কিন্তু পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও ০২ নম্বর আসামী জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি শামিউল হক লিটনকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। অথচ তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

যুব মহিলী লীগের নেত্রীরা আরও বলেন, সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যার পর জেলা শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শহরে নারীরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে না। হত্যার পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামীদেরকে আটক না করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমাদের দাবি, দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং জেম হত্যার বিচার করতে হবে। এই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় ১৪ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি আসামীদেরকেও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। রিমান্ডে আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে ও বাকি আসামীদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিনা বেগম, জেলা মহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদক সুলেখা বেগম, জেলা যুব মহিলা লীগের প্রচার সম্পাদক বিউটি আক্তার, সদস্য এমালি খাতুন, জুলেখা বেগম, রোজি খাতুন, শাহনাজ খাতুন, সদর থানা যুব মহিলা লীগের সম্পাদিকা রোকেয়া বেগম রাখি, পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি জুঁই আক্তারসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা।

হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর গত রবিবার (২২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৯ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়নমোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করার সময় দুর্বৃত্তরা খায়রুল আলম জেমকে দেশী-বিদেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াকালে তার ‍মৃত্যু হয়। পরদিন হত্যার সঠিক বিচার দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেন স্বজনরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জেম হত্যার প্রধান আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা যুব মহিলা লীগ ও জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের কর্মীদের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে। এরপর থানায় মামলা হলে পুলিশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা শহরের বখাটে ছিনতাইকারী। কিন্তু পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও ০২ নম্বর আসামী জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি শামিউল হক লিটনকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। অথচ তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

যুব মহিলী লীগের নেত্রীরা আরও বলেন, সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যার পর জেলা শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শহরে নারীরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে না। হত্যার পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামীদেরকে আটক না করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমাদের দাবি, দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং জেম হত্যার বিচার করতে হবে। এই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় ১৪ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি আসামীদেরকেও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। রিমান্ডে আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে ও বাকি আসামীদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিনা বেগম, জেলা মহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদক সুলেখা বেগম, জেলা যুব মহিলা লীগের প্রচার সম্পাদক বিউটি আক্তার, সদস্য এমালি খাতুন, জুলেখা বেগম, রোজি খাতুন, শাহনাজ খাতুন, সদর থানা যুব মহিলা লীগের সম্পাদিকা রোকেয়া বেগম রাখি, পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি জুঁই আক্তারসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা।

হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর গত রবিবার (২২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৯ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়নমোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করার সময় দুর্বৃত্তরা খায়রুল আলম জেমকে দেশী-বিদেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াকালে তার ‍মৃত্যু হয়। পরদিন হত্যার সঠিক বিচার দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেন স্বজনরা।