ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিল্লুর রহমানের অবদানের অজানা গল্প মতিয়ার কণ্ঠে

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:২১:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নতুন প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি খ্যাত জিল্লুর রহমান অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেমগ মতিয়া চৌধুরী। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় তার সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে মতিয়া চৌধুরী দলের জন্য তাঁর অবদানের অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরেন।

সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বেলা ১১টায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মতিয়া চৌধুরী বলেন, জিল্লু ভাই কথা কম বলতেন। কিন্তু কাজের কথা একটিও বাদ দিতেন না। ১/১১ সময়ে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুধাসদন থেকে গ্রেফতার করা হয় তখন দল থেকে আমাদের ভূমিকা কী হবে এটা নিয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করতাম। সে সময়ে জিল্লুর ভাই ছিলেন হাইকোর্টে একমাত্র ভরসা।

মতিয়া বলেন, যেদিন নেত্রীকে গ্রেফতার করা হলো তখন সারারাত টিভিতে দেখতে থাকি কী চলছে। আর এদিকে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম কী করা যায়। সকাল থেকেই কোর্ট প্রাঙ্গণে লোক আর লোক। তখনকার সরকার ও কোর্ট বললো, নেত্রীকে অন্তরীণ থাকতে হবে। সেই পরিস্থিতিতে জিল্লুর ভাইকে সভাপতির দায়িত্ব দিলেন শেখ হাসিনা। জিল্লুর ভাই আইভিশূন্য জীবনেও দলের জন্য পরিশ্রম করে গেছেন নিরলসভাবে।

সংসদ উপনেতা বলেন, জিল্লুর ভাই যেকোনো সময়ে যেকোনো সংকটে দায়িত্ব নিতে ছিলেন পটু। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ ছিলেন বলেই আজ আমরা তার সম্পর্কে এত কথা বলছি। এখনো প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই মিটিংয়ের মধ্যে বলেন, ‘জিল্লুর চাচা থাকলে আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারতেন।’

আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, তিনি (জিল্লুর রহমান) আমাদের কাছে এখনো অনুকরণীয়। দুঃসময়ে কীভাবে অটল পর্বতের মতো দণ্ডায়মান থাকতে হয় সেটা শিখিয়েছেন। তিনি ছিলেন নির্লোভী, মিষ্টভাষী ও কর্মীবান্ধব সংগঠক। নতুন প্রজন্মের কাছে তার জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে হবে। তাতে আগামীর প্রজন্ম রাজনীতিতে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংসদ উপনেতা।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে বলেন, জিল্লুর ভাই ছিলেন অত্যন্ত সাংগঠনিক ব্যক্তি। তার এই দক্ষতার কারণেই বঙ্গবন্ধু তাকে মূল দলের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। জিল্লুর ভাইকে এজন্যই আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তার ১/১১ সময়ে দল ও দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছিলেন।

স্মৃতিচারণে তিনি আরও বলেন, জিল্লুর রহমান একজন রাজনৈতিক কর্মী থেকে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর চরিত্র, আদর্শ ও কর্মজীবন সত্যি অনুকরণীয়। তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর জীবনের দিকগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সবার প্রতি আহ্বান জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য।

সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল বলেন, আমি যখন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগরের সভাপতি ছিলাম তখন আমরা ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করতে সর্বদা জিল্লু ভাইয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করতাম। তিনি আমাদের সব সংকটে সাহস যোগাতেন। আমি মনে করি নতুন প্রজন্মের কাছে জিল্লুর ভাই অনুকরণীয় এক চরিত্র। তার মতো সৎ ও আদর্শবান মানুষ রাজনীতিতে বিরল।

সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মশিউর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জিল্লুর রহমানের অবদানের অজানা গল্প মতিয়ার কণ্ঠে

আপডেট সময় : ০৯:২১:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

নতুন প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি খ্যাত জিল্লুর রহমান অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেমগ মতিয়া চৌধুরী। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় তার সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে মতিয়া চৌধুরী দলের জন্য তাঁর অবদানের অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরেন।

সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বেলা ১১টায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মতিয়া চৌধুরী বলেন, জিল্লু ভাই কথা কম বলতেন। কিন্তু কাজের কথা একটিও বাদ দিতেন না। ১/১১ সময়ে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুধাসদন থেকে গ্রেফতার করা হয় তখন দল থেকে আমাদের ভূমিকা কী হবে এটা নিয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করতাম। সে সময়ে জিল্লুর ভাই ছিলেন হাইকোর্টে একমাত্র ভরসা।

মতিয়া বলেন, যেদিন নেত্রীকে গ্রেফতার করা হলো তখন সারারাত টিভিতে দেখতে থাকি কী চলছে। আর এদিকে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম কী করা যায়। সকাল থেকেই কোর্ট প্রাঙ্গণে লোক আর লোক। তখনকার সরকার ও কোর্ট বললো, নেত্রীকে অন্তরীণ থাকতে হবে। সেই পরিস্থিতিতে জিল্লুর ভাইকে সভাপতির দায়িত্ব দিলেন শেখ হাসিনা। জিল্লুর ভাই আইভিশূন্য জীবনেও দলের জন্য পরিশ্রম করে গেছেন নিরলসভাবে।

সংসদ উপনেতা বলেন, জিল্লুর ভাই যেকোনো সময়ে যেকোনো সংকটে দায়িত্ব নিতে ছিলেন পটু। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ ছিলেন বলেই আজ আমরা তার সম্পর্কে এত কথা বলছি। এখনো প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই মিটিংয়ের মধ্যে বলেন, ‘জিল্লুর চাচা থাকলে আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারতেন।’

আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, তিনি (জিল্লুর রহমান) আমাদের কাছে এখনো অনুকরণীয়। দুঃসময়ে কীভাবে অটল পর্বতের মতো দণ্ডায়মান থাকতে হয় সেটা শিখিয়েছেন। তিনি ছিলেন নির্লোভী, মিষ্টভাষী ও কর্মীবান্ধব সংগঠক। নতুন প্রজন্মের কাছে তার জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে হবে। তাতে আগামীর প্রজন্ম রাজনীতিতে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংসদ উপনেতা।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে বলেন, জিল্লুর ভাই ছিলেন অত্যন্ত সাংগঠনিক ব্যক্তি। তার এই দক্ষতার কারণেই বঙ্গবন্ধু তাকে মূল দলের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। জিল্লুর ভাইকে এজন্যই আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তার ১/১১ সময়ে দল ও দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছিলেন।

স্মৃতিচারণে তিনি আরও বলেন, জিল্লুর রহমান একজন রাজনৈতিক কর্মী থেকে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর চরিত্র, আদর্শ ও কর্মজীবন সত্যি অনুকরণীয়। তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর জীবনের দিকগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সবার প্রতি আহ্বান জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য।

সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল বলেন, আমি যখন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগরের সভাপতি ছিলাম তখন আমরা ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করতে সর্বদা জিল্লু ভাইয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করতাম। তিনি আমাদের সব সংকটে সাহস যোগাতেন। আমি মনে করি নতুন প্রজন্মের কাছে জিল্লুর ভাই অনুকরণীয় এক চরিত্র। তার মতো সৎ ও আদর্শবান মানুষ রাজনীতিতে বিরল।

সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন মশিউর রহমান।