ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে: কাদের

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১১১ বার পড়া হয়েছে

জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে আজ জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন দেখে তাদের মনে গাত্রদাহ হচ্ছে। কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোনো উৎসবে যাননি। তিনি নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধনের জন্য গিয়েছেন।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সশস্ত্র বাহিনী নীতি’ প্ৰণয়ন করেছিলেন। সেই আলোকে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফোর্সেস গোল-২০৩০ নির্ধারণ করেছেন। তিনি একে একে রামু ক্যান্টনমেন্ট, বরিশালে শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, মাওয়ায় শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট এবং কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে আজ একটি ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধন করলেন।’

কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনমানের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাদ যায়নি এক সময়ে মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবহেলিত হাওরাঞ্চলও।’

রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ পর পর দুইবার সফলতার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষ করতে যাচ্ছেন। এ উপলক্ষ্যে সেখানে একটি সুধী সমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেছেন। এখানে কোনো উৎসবের আয়োজন করা হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে হাওড় অঞ্চলে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে উন্নয়নের ফলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তার যোগাযোগব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে উড়াল সেতু। এ সকল পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে সুধী সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমলে ২১৯ দিনের মাথায় তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে তাদের দলের ক্যাডাররা রেললাইনে ধাওয়া করেছিল। যা দেশবাসী ভুলে যায়নি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক শাসক খুনি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম-কে বন্দুকের মুখে উৎখাত করেছিল। বিএনপি আমলে রাজাকার আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মতো মানুষকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল। তাদের আমলে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন জনগণের কাছে ‘ইয়েস উদ্দিন’ নামে অবহিত হয়েছিলেন। সুতরাং দেখা যায়, বিএনপির সময় যারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তারা অপদস্থ, অসম্মানিত ও অপমানিত হয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আজ দেশের এক কোটি পরিবার ওএমএস-এর ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পাচ্ছে অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে। উপকারভোগীরা ভালো আছেন। এটা বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। বিএনপি তাদের আমলে লুটপাট করেছে এবং তারা দেশের কোনো উন্নয়ন করে নাই। তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতি-আদর্শ ছিল না। বিএনপির কাছে রাজনীতি ছিল ভোগের বস্তু; দুর্নীতিই ছিল তাদের রাজনীতির একমাত্র নীতি।’

কাদের বলেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ফলে দেশের সকল মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে যাচ্ছে। জনগণ ভালো আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও আমাদের খাদ্য সংকট নেই। অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। শেখ হাসিনা সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন বলেই বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। অতএব, বিএনপির নেতৃবৃন্দের এ ধরনের বক্তব্য তাদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে: কাদের

আপডেট সময় : ০২:৩২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে আজ জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন দেখে তাদের মনে গাত্রদাহ হচ্ছে। কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোনো উৎসবে যাননি। তিনি নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধনের জন্য গিয়েছেন।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সশস্ত্র বাহিনী নীতি’ প্ৰণয়ন করেছিলেন। সেই আলোকে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফোর্সেস গোল-২০৩০ নির্ধারণ করেছেন। তিনি একে একে রামু ক্যান্টনমেন্ট, বরিশালে শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, মাওয়ায় শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট এবং কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে আজ একটি ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধন করলেন।’

কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনমানের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাদ যায়নি এক সময়ে মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবহেলিত হাওরাঞ্চলও।’

রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ পর পর দুইবার সফলতার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষ করতে যাচ্ছেন। এ উপলক্ষ্যে সেখানে একটি সুধী সমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেছেন। এখানে কোনো উৎসবের আয়োজন করা হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে হাওড় অঞ্চলে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে উন্নয়নের ফলে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তার যোগাযোগব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে উড়াল সেতু। এ সকল পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে সুধী সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমলে ২১৯ দিনের মাথায় তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে তাদের দলের ক্যাডাররা রেললাইনে ধাওয়া করেছিল। যা দেশবাসী ভুলে যায়নি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক শাসক খুনি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম-কে বন্দুকের মুখে উৎখাত করেছিল। বিএনপি আমলে রাজাকার আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মতো মানুষকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল। তাদের আমলে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন জনগণের কাছে ‘ইয়েস উদ্দিন’ নামে অবহিত হয়েছিলেন। সুতরাং দেখা যায়, বিএনপির সময় যারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তারা অপদস্থ, অসম্মানিত ও অপমানিত হয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আজ দেশের এক কোটি পরিবার ওএমএস-এর ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পাচ্ছে অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে। উপকারভোগীরা ভালো আছেন। এটা বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। বিএনপি তাদের আমলে লুটপাট করেছে এবং তারা দেশের কোনো উন্নয়ন করে নাই। তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতি-আদর্শ ছিল না। বিএনপির কাছে রাজনীতি ছিল ভোগের বস্তু; দুর্নীতিই ছিল তাদের রাজনীতির একমাত্র নীতি।’

কাদের বলেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ফলে দেশের সকল মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে যাচ্ছে। জনগণ ভালো আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও আমাদের খাদ্য সংকট নেই। অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। শেখ হাসিনা সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন বলেই বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। অতএব, বিএনপির নেতৃবৃন্দের এ ধরনের বক্তব্য তাদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ।’