ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা, বেড়েছে বিক্রিও

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর। শুরুতে কিছুটা দর্শনার্থীদের খরা থাকলেও ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বিশেষ করে আজকের ছুটির দিনে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। যার ফলে, বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফিরতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৭টি বড় প্যাভিলিয়নসহ ৩৩১ স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি বিদেশি স্টল রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান প্রথম সপ্তাহে আশানুরূপ বিক্রি করতে পারেনি। দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে মেলার প্রবেশ করতে দেখা গেছে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থীর। বেচাকেনাও হয়েছে গত দিনের তুলনায় বেশি। মেলার অভ্যন্তরীণ প্যাভিলিয়ন ও সল্টগুলো ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। ব্লেজার বিক্রেতা, শীতের কাপড়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার অভ্যন্তরীণ প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। দেশীয় পোশাক, হস্তশিল্পজাত পণ্য, সাজসজ্জার সামগ্রী, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, মেলামিন, আসবাব ও কার্পেটসহ গৃহসজ্জার বিভিন্ন সরঞ্জাম, ব্যাগ-জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ ও ইমিটেশন জুয়েলারি পণ্যের স্টলের সামনে ক্রেতাদের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্লেজারসহ অন্যান্য শীতের কাপড়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। এর ফলে বেড়েছে কেনাবেচা।

রাজধানীর ডেমরা থেকে মেলায় ঘুরতে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, মেলার সরকারি ছুটির দিন থাকায় লোকজন বেশি। ভিড় ঠেলে কেনাকাটা করতে হয়েছে। তবে সব কিছু একসঙ্গে পেয়ে ভালো লাগছে।

মিরপুরের বাসিন্দা আলী আহমদ বলেন, একটু দূরে হওয়ায় মেলায় আসতে অসুবিধা হয়েছে। তবে মেলায় আসার পর পণ্য দেখে ও কম দামে কিনতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, সকাল ১০টা থেকে মেলা শুরু হয়েছে। মেলার আর্চওয়ের হিসেবে এমনিতে মেলায় প্রতিদিন ক্রেতা ও দর্শনার্থী সংখ্যা থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মতো। তবে আজকে (শুক্রবার) রেকর্ড পরিমাণ দর্শনার্থী হয়েছে। মেলায় এখন পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসর শুরু হয়। মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি বিদেশি স্টল রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান প্রথম সপ্তাহে আশানুরূপ বিক্রি করতে পারেনি। দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে।

আয়োজকদের প্রত্যাশা এবার মেলা থেকে ৫শ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া যাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা, বেড়েছে বিক্রিও

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর। শুরুতে কিছুটা দর্শনার্থীদের খরা থাকলেও ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বিশেষ করে আজকের ছুটির দিনে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। যার ফলে, বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফিরতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৭টি বড় প্যাভিলিয়নসহ ৩৩১ স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি বিদেশি স্টল রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান প্রথম সপ্তাহে আশানুরূপ বিক্রি করতে পারেনি। দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে মেলার প্রবেশ করতে দেখা গেছে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থীর। বেচাকেনাও হয়েছে গত দিনের তুলনায় বেশি। মেলার অভ্যন্তরীণ প্যাভিলিয়ন ও সল্টগুলো ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। ব্লেজার বিক্রেতা, শীতের কাপড়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার অভ্যন্তরীণ প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। দেশীয় পোশাক, হস্তশিল্পজাত পণ্য, সাজসজ্জার সামগ্রী, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, মেলামিন, আসবাব ও কার্পেটসহ গৃহসজ্জার বিভিন্ন সরঞ্জাম, ব্যাগ-জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ ও ইমিটেশন জুয়েলারি পণ্যের স্টলের সামনে ক্রেতাদের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্লেজারসহ অন্যান্য শীতের কাপড়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। এর ফলে বেড়েছে কেনাবেচা।

রাজধানীর ডেমরা থেকে মেলায় ঘুরতে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, মেলার সরকারি ছুটির দিন থাকায় লোকজন বেশি। ভিড় ঠেলে কেনাকাটা করতে হয়েছে। তবে সব কিছু একসঙ্গে পেয়ে ভালো লাগছে।

মিরপুরের বাসিন্দা আলী আহমদ বলেন, একটু দূরে হওয়ায় মেলায় আসতে অসুবিধা হয়েছে। তবে মেলায় আসার পর পণ্য দেখে ও কম দামে কিনতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, সকাল ১০টা থেকে মেলা শুরু হয়েছে। মেলার আর্চওয়ের হিসেবে এমনিতে মেলায় প্রতিদিন ক্রেতা ও দর্শনার্থী সংখ্যা থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মতো। তবে আজকে (শুক্রবার) রেকর্ড পরিমাণ দর্শনার্থী হয়েছে। মেলায় এখন পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসর শুরু হয়। মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি বিদেশি স্টল রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান প্রথম সপ্তাহে আশানুরূপ বিক্রি করতে পারেনি। দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে।

আয়োজকদের প্রত্যাশা এবার মেলা থেকে ৫শ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া যাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তারা।