চড়া দরের কশাঘাতে জর্জরিত খেটে খাওয়া মানুষ
- আপডেট সময় : ০৯:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১২৬ বার পড়া হয়েছে
শাক-সবজির চড়া দরের কশাঘাতে জর্জরিত খেটে খাওয়া মানুষ। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতেই যেন হিমশিম খাচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবারের (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাজার দর বলছে, পেঁপে আর মুলা বাদে ৬০ টাকার কমে কোনাে সবজি পাওয়াই কঠিন। শাকের আটিও সর্বনিম্ন ১৫ টাকা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম পেঁপে আর মুলার। দুটি সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাজারে বিক্রি হওয়া সবজির মধ্যে ৬০ টাকার কমে সবজি পাওয়া বেশ কঠিন।
বাজারে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। গোল বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
শীতের সবজির মধ্যে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাধাকপি।
এদিকে বাজারে এক আটি লাউ শাকের দাম সর্বনিম্ন ৩০ টাকা। এক আটিতে পাওয়া যাচ্ছে লাউ শাকের তিনটি ডাটা। কিছুটা বড় আকারের হলে সেই দাম পৌঁছে যাচ্ছে ৪০ টাকায়।
একই দামে বিক্রি হচ্ছে ডাটা ও কুমড়া শাক। লাল শাকের আটি ২০ টাকা, একই দর পালং শাকের। বাজারে সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে কলমি শাক। আটি ১৫ টাকা। কচুর শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা।
শাক-সবজির এই দামের বিপরীতে নিজেদের অসহায় মনে করছেন নিম্নআয়ের মানুষ। প্লাস্টিকের বোতল তৈরির কারখানায় কাজ করা আব্দুল কুদ্দুস দিনে আয় করেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এই টাকায় ঘর ভাড়া, খাওয়া ও অন্যান্য খরচ চালাতে হয়।
ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে কামরাঙ্গীরচর এলাকার এই বাসিন্দা ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘মাছ-মাংস তো খাওয়াই হয় না। শাক-সবজি দিয়াই চলি। কিন্তু এখন তো শাক-সবজিরও প্রচুর দাম। বাজারে গেলে দিশা পাই না।’
একই কথা জানালেন কুলি হিসেবে কাজ করা কালিমুদ্দি। রাজধানীর তুরাগ তীরে জাহাজ থেকে নির্মাণ সামগ্রী ওঠানামার কাজ করেন তিনি।
কালিমুদ্দির ভাষ্যমতে, দিনে তার আয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তার স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করেন। দুইজনের আয় দিয়েও চার সদস্যের পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সব ঠিক আছে। বাজারে গেলেই বোঝা যায় অবস্থাডা কি। আমগো অবস্থা শ্যাষ।’
আসন্ন রমজানকে ঘিরে দুশ্চিন্তায় দিন গুনছেন দিনমজুর মানুষগুলো। ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করা মো. শিপন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এখনই তো জিনিসপত্রের দাম অনেক। সামনে আবার রোজা। তখন তো আরও বাড়ব। এখনি চলতে পারি না। তখন কি করুম আল্লাহ জানে।’